এমভি রাঙ্গামাটি নামের একটিসহ মোট দুটি অকেজা জাহাজের জ্বালানি ও মেইনটেনেন্স খরচ, জাহাজের পন্টুন খরচের ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি এবং জাহাজের বেনামী কোম্পানি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে দুদকের একটি এনফোরর্সমেন্ট টিম অভিযানটি পরিচালনা করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। দুদকসূত্র জানায়, বিআইডব্লিটিএ, চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অকেজা জাহাজের জ্বালানি ও মেইনটেনেন্স খরচ, পন্টুন খরচের ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি এবং জাহাজের বেনামী কোম্পানি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। যার কারণে প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রাম অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক আজাদীকে বলেন, অভিযানকালে বিআইডব্লিউটিএ’র অফিসে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিল–ভাউচারসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র যাচাই–বাছাইসহ পর্যালোচনা করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় বেশ কিছু বিল–ভাউচারের অসামঞ্জস্যতা ও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট পূর্ণাঙ্গ রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য পূর্ণাঙ্গ রেকর্ডপত্র অফিসটির কাছে চেয়েছি।
মো. এনামুল হক বলেন, অকেজো জাহাজের মধ্যে একটির নাম হচ্ছে এমভি রাঙ্গামাটি। আরো একটি রয়েছে। মোট দুটি অকেজা জাহাজের জ্বালানি ও মেইনটেনেন্স খরচের ভুয়া বিল তৈরি করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ। কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো রেজিস্ট্রার, মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার দেখাতে পারেনি।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক নাজমু ছাদাত আজাদীকে বলেন, বিআইডব্লিটিএ’র বিরুদ্ধে আমাদের কাছে নানা অভিযোগ ছিল। এর প্রেক্ষিতে আমাদের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে রেকর্ডপত্র যাচাই–বাছাইসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে অভিযোগ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং সত্যতা পেয়েছে টিম। আমরা এখন বিষয়টি কমিশনকে জানাব। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।












