ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রীর নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পাবনা ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। হাই কোর্ট থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর বুধবার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এই চিঠি পাঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের চিঠি বুধবারই পৌঁছেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের নির্দেশে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মোবাইল ফোন বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে পাবনা ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কাছে পৃথক দুটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির অনুলিপি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছেও আরেকটি চিঠি দেওয়া হয় বলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জানান। ওই চিঠিতে ভুক্তভোগীকে যেকোনো ছাত্রী হলে তার পছন্দমতো সিটে তুলে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়, জানান আলী হাসান। খবর বিডিনিউজের।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন সহযোগীদের দ্বারা নবীন ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে নেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যান ওই ছাত্রী। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী।











