টেকনাফের ইয়াবা কারবারি শাহ আলম কারাগারে

বিচারের জন্য মামলা গেল বিশেষ জজ আদালতে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১ মার্চ, ২০২৩ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফের ইয়াবা কারবারি শাহ আলমকে দুদকের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। একই সাথে মামলাটি বিচারের জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা এই আদেশ দেন। শাহ আলম টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শাহ আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সাথে মামলাটি বিচারের জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, সম্প্রতি শাহ আলনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। চার্জশিটে বলা হয়েছে, শাহ আলমের বৈধ কোনো ব্যবসা নেই। অথচ তিনি প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ। সাড়ে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করে বাড়ি নির্মাণ করলেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই তিনি তার আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি।

আদালতসূত্র জানায়, শাহ আলম টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম। একসাথে আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে এই শাহ আলমও ছিলেন। কারাগারে থেকে জামিনে বেরিয়ে পলাতক হয়েছেন। আদালতসূত্র আরো জানায়, ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন শাহ আলম। এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক। এতে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও মিলে। এ জন্য তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য সুপারিশ করে অনুসন্ধানকারী টিম। সুপারিশ অনুযায়ী শাহ আলমের নামে সম্পদ বিররণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। কঙবাজার কারাগারে থাকা অবস্থায় শাহ আলম সম্পদ বিবরণী ফর্মে স্বাক্ষরও করেন। কিন্তু নির্ধারিত ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও শাহ আলম সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।

আদালত সূত্র জানায়, তদন্তকালে দেখা যায়, আসামি শাহ আলম প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণ করলে সে তথ্য তার আয়কর নথিতে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তার নামে অন্যান্য জমিজমা থাকলেও আয়কর নথিতে সেসব তথ্য প্রদর্শন করেননি। চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো উল্লেখ করেন, শাহ আলমের কোনো বৈধ ব্যবসার রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। এস কে এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি ট্রেড লাইসেন্স ও ফার্নিসার্স মার্ট নামের একটি আসবাসপত্র ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স তার নামে পাওয়া গেলেও সেখান থেকে সামান্য কিছু অর্থ আয়ের তথ্য পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর দুদক কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে শাহ আলমের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলাটি দায়ের করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘এ বার ঘুমাতে যাও’ বর্ষসেরা ফুটবলার হয়ে কাকে বার্তা মেসির
পরবর্তী নিবন্ধএবার ৩ কোটি টাকার বই বিক্রি