রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় অবস্থিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন আশঙ্কাজক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কাপ্তাই লেকের পানি অনেকটা নেমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিস্থিতি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। পানির অভাবে যেকোনো সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে লেকের পানি ৮০ ফুট মীন সি লেভেলের নিচে নেমে এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৫টি ইউনিট উপযোগী থাকলেও এখন মাত্র একটি ইউনিট সচল রেখে সীমিত পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আজাদীকে বলেন, “রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী এখন কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৯৩.৪৫ ফুট মীন সী লেভেল কিন্তু এই মুহূর্তে লেকে পানি রয়েছে ৭৯.৮৮ ফুট মিন সী লেভেল।”
লেকের পানি বিপজ্জনক পর্যায়ে কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের সবগুলো ইউনিট এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত কিন্তু কাপ্তাই লেকে পানি না থাকায় মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে কোনোমতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।”
বর্তমানে ১ নম্বর ইউনিট উৎপাদনে রয়েছে উল্লেখ করে ব্যবস্থাপক বলেন, “১ নম্বর ইউনিট থেকে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও উৎপাদন করা হচ্ছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট। এভাবে আর ২ থেকে ৩ দিন সীমিত পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যেতে পারে কিন্তু মার্চ মাস হবে ভয়াবহ। মার্চ মাসে গরম শুরু হলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাবে। তখন সবগুলো ইউনিট চালু করে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রয়োজন হবে। অথচ কাপ্তাই লেকে পানি না থাকায় মার্চে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।”
কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সবাই বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। বৃষ্টি হলে লেক পানিতে পরিপূর্ণ হবে এবং তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে বলে সবাই আশা করছেন কিন্তু আবহাওয়া অধিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী রাঙামাটি জেলায় আপাতত বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে প্রকৌশলী আব্দুজ্জাহের জানান। আর এ জন্যই বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখা যাবে কি না এই নিয়ে তিনি শঙ্কায় আছেন।