হাটহাজারীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক আটটার দিকে উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তুফান আলীর বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ২০ লক্ষাধিক নগদ টাকাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী, অগ্নিদুর্গতদের পারিবারিক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ রাত আটটার দিকে উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জনৈক তুফান আলীর বাড়িতে হঠাৎ অগ্নিণ্ডের সূত্রপাত হয়ে আগুনের লেলিখান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বসতঘর, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, মালামাল, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মূল্যবান দলিলপত্র আগুনে পুড়ে যায়।
আগুনে এক ব্যবসায়ীর ব্যাংক থেকে উত্তোলিত নগদ ১৫ লাখ টাকাও পুড়ে যায়। তাছাড়া আরো আট পরিবারেরও নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকাও আগুনে পুড়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী থেকে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন আবুল কালাম, আবুল কাশেম, আবুল হাশেম, মোহাম্মদ জাফর, মোহাম্মদ নোমান, শরিফুল আলম বাবু, মোহাম্মদ রফিক, নূর নাহার বেগম ও কালামিয়া।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ শাহজাহান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তাছাড়া ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন জানান, আজ রবিবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে উক্ত এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে ৯ পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে শরিফুল আলম বাবু নামে এক ব্যবসায়ীর ব্যাংক থেকে উত্তোলিত নগদ ১৫ লাখ টাকা সহ অন্যান্য পরিবারের আনুমানিক নগদ ৫ লাখ টাকাসহ বিশ লাখ টাকা পুড়ে যায়।
এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুর্গতরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তাছাড়া রাত আনুমানিক পৌনে দশটার দিকে একই ইউনিয়ন সেকান্দর পাড়ায় আরো একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।