চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন ৭ তলা বিশিষ্ট ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের পেছনের অংশে (মাঠের বিপরীতে) নির্ধারিত জায়গায় বর্তমানে ভবনটির পাইলিংয়ের কাজ চলছে। মার্চ মাসের মধ্যে পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী জানুয়ারিতে ভবনটির সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। আর নির্মাণ কাজ শেষ হলে নতুন ভবনে যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা–নিরীক্ষার সেবা চালু করতে চায় চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান আজাদীকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ দ্রুতবেগে এগিয়ে চলছে। এবছরের ডিসেম্বরে নয়তো আগামী বছরের শুরুর দিকে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হতে পারে বলে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তরা আমাদের জানিয়েছেন। সেটিকে টার্গেট রেখে ডিসেম্বরের আগেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলেই এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম দ্রুত স্থাপনের মাধ্যমে যাতে সেবা চালু করা সম্ভব হয়। কারণ যত দ্রুত আমরা পরীক্ষা–নিরীক্ষার এ সেবা চালু করতে পারি, তত দ্রুত চট্টগ্রামের গরীব রোগীরা এর সুবিধা পাবেন।
পরীক্ষা–নিরীক্ষার যেসব সরঞ্জাম থাকবে নতুন ভবনে : হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন ভবনের নিচতলা জুড়ে থাকবে প্রশাসনিক ব্লক। দ্বিতীয় তলায় দুটি করে এমআরআই ও সিটিস্ক্যান। তৃতীয় তলায় তিনটি এঙ–রে এবং রোগীদের অপেক্ষাগার (ওয়েটিং রুম)। ৪র্থ তলা জুড়ে থাকবে দশটি আলট্রাসনোগ্রাম। ৫ম তলায় একটি এনজিওগ্রাম, তিনটি অ্যান্ডোসকপি ও তিনটি ক্রোনোস্কপির সেবা পাওয়া যাবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান আজাদীকে বলেন, আমাদের পুরো হাসপাতালে মাত্র একটি করে এমআরআই ও সিটি স্ক্যান মেশিন রয়েছে। একমাত্র এমআরআই মেশিনটিও বেশ কয়েক মাস ধরে অচল। যার কারণে গরীব রোগীরা কম খরচের সরকারি এমআরআই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুটি এনজিওগ্রামের একটি বেশ কিছুদিন ধরে অচল থাকায় হার্টের রোগীদেরও কষ্ট হচ্ছে।
নতুন ভবনটিতে জাইকার অর্থায়নে সব চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে। দুটি করে এমআরআই–সিটিস্ক্যান ছাড়াও একটি এনজিওগ্রামসহ দামি আরো বেশ কিছু সরঞ্জাম থাকবে। তাই নতুন ভবনে দ্রুততার সঙ্গে এসব সরঞ্জামের পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালু করাই আমাদের চাওয়া। যাতে গরীব রোগীরা উপকৃত হয়। নতুন ভবনের তিনতলার সাথে একটি কানেক্টিং ব্রিজের মাধ্যমে বিদ্যমান পুরনো ভবনের তিনতলার রেডিওলজি বিভাগের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হবে হবে বলেও জানান হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন ভবনটি নির্মাণ হলে সেখানে রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং এর আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে। এর মাঝে সিটি স্ক্যান, এমআরআই, এনজিওগ্রাম, অ্যান্ডোসকপি, ক্রোনোস্কপি, আলট্রাসনোগ্রাম ও এঙ–রে অন্যতম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাসপাতালের গরীব রোগীদের পরীক্ষা–নিরীক্ষার সুবিধা আরো বাড়বে বলে মনে করেন চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার।












