সাতকানিয়ায় ভাগ্নিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মামার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বখাটেরা। আহত মামার নাম রিয়াদ হোসেন ফাহিম (১৬)। সে কেরানীহাট আশশেফা স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কেরানীহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্কুল ছাত্র রিয়াদ হোসেন ফাহিম বলে, “আমি এবং আমার ভাগ্নি আশশেফা স্কুল এন্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে পড়ি। সম্প্রতি আরিফ ও তুহিন নামের দু’টি ছেলে আমার ভাগ্নিকে একাধিক বার ইভটিজিং করে। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা আমার সামনেও ভাগ্নিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি আমি স্কুলের অধ্যক্ষকে জানাই। পরে তিনি ওই ছেলেদের অভিভাবককে জানিয়ছেন বলে শুনেছি। এদিকে, আজ দুপুরে আমি স্কুলের মডেল টেস্ট শেষে কেরানীহাট মোড় থেকে গাড়িতে উঠছিলাম। এসময় আরিফ, তুহিনসহ ১০-১২ জনের দল আমাকে আটক করে রাস্তার উপর এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা মারধর করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়।”
আহত স্কুল ছাত্রের বাবা ঢেমশা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঢেমশা দাইমারখীল এলাকার মো. ইয়াছিন আরফাত বলেন, “কয়েকজন বখাটে ছেলে গত এক মাস ধরে আমার নাতনিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি রাস্তায় আটকিয়ে ফুল পর্যন্ত দিতে চেয়েছে। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে আমার ছেলের সামনে তাকে উত্ত্যক্ত করে। তখন আমার ছেলে রিয়াদ হোসেন ফাহিম প্রতিবাদ করে এবং বিষয়টি তাদের স্কুলের অধ্যক্ষকে জানায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আজ দুপুরে আমার ছেলে স্কুল থেকে আসার পথে আটক করে মারধর করে মাথা ফটিয়ে দেয়। এভাবে চলতে থাকলেতো ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো যাবে না।”
আশশেফা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, “আমাদের স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে কয়েকজন বখাটে ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কয়েকদিন আগেও উত্ত্যক্ত করায় ওই ছাত্রীর মামা এবং একই শ্রেণির ছাত্র রিয়াদ হোসেন ফাহিম বিষয়টি আমাকে জানায়। তখন বিষয়টি নিয়ে আমি উত্ত্যক্তকারী এবং তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলি। আগামীতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করি কিন্তু আজ দুপুরে আমাদের ছাত্র এবং ওই ছাত্রীর মামাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কেরানীহাট মোড়ে আটক করে মারধর করে বখাটেরা। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশশেফা হাসপাতালে এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।”
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।