চট্টগ্রামের বাঁশখালীর দক্ষিণ সীমান্তবর্তী পুঁইছড়ির প্রেমবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম শহরগামী এস. আলম (চট্ট-মেট্রো-ব ১১-১৪৫৪) বাসের ধাক্কায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বাঁশখালী সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্লে শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অভ্র রাজ (৫)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংঘটিত এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অভ্র রাজ সিকদার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার রুপন সিকদারের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্কুল ছুটির পর শিশুটি সড়ক পারাপারের জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন দক্ষিণ দিক থেকে আসা এস. আলম বাসের ধাক্কায় সে সড়কে পড়ে যায়। এতে তার এক পা ভেঙে যায় ও অপর পায়ে গুরুতর জখম হয় এবং মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চাম্বলস্থ বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়া উদ্দিন বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু অভ্রর বাম পা ভেঙে যায় আর ডান পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
বাঁশখালী থানা পুলিশ বাসটি আটক করেছে বলে জানা গেলেও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটানো বাসগুলো পার পেয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
চট্টগ্রাম বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার, পেকুয়া, চকরিয়াগামী একমাত্র সড়কটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুঘর্টনার ফলে হয় মৃত্যু নয়তো চিরতরে পঙ্গু হতে হচ্ছে। সরু ও ঝুঁকিপুর্ণ এ সড়কে চলতি বছরের দেড় মাসে ছোট-বড় অর্ধশত দুঘর্টনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে একমাত্র প্রধান সড়কের পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিভাবকরা সবসময় আতংকগ্রস্থ থাকে তাদের স্কুলে যাওয়া সন্তানটি নিরাপদে ফিরে আসতে পারবে কি না এ শংকায়।