অবশেষে দুই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ

ছাত্রাবাসে নির্যাতন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে লিখিত অভিযোগ দিল মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থী। গতকাল দুপুরে এ অভিযোগ হাতে পেয়েছে চমেক প্রশাসন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার আজাদীকে বলেন, ঘটনার পর থেকে তারা কিছুই বলছিল না। অভিযোগও করেনি। তবে সোমবার দুপুরে দুজনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলে উত্থাপন করা হবে। সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মারধরকারী হিসেবে এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের সাজু দাশ ও সৌরভ দেব নাথ, ৫৯তম ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম জয়, ৬০তম ব্যাচের অভিজিৎ দাশ ও ৩০তম বিডিএসএর সাজেদুল ইসলাম হৃদয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে। তারাই মূলত মারধরনির্যাতনে নের্তৃত্ব দেয়। তবে তাদের সাথে অজ্ঞাত আরো বেশ কয়জন জন ছিল বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযোগে ৫ জনের নাম উল্লেখ করার তথ্য নিশ্চিত করে চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, এর বাইরে অজ্ঞাত নামের আরো বেশ কয়জন তাদের সাথে ছিল বলে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগে বলেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সবাই চমেক ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেক হোস্টেল ও ক্যাম্পাসে সংঘটিত ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মারামারির ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের তালিকায় অভিযুক্তরাও ছিলেন। এর মাঝে সাজু দাশ ও সৌরভ দেব নাথ এক বছরের জন্য, সাজেদুল ইসলাম হৃদয় ও অভিজিৎ দাশ দুই বছরের জন্য এবং রিয়াজুল ইসলাম দেড় বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়। ২০২১ সালের ওই ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ রেখেছে চমেক প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, শিবিরের কর্মী সন্দেহে চমেক প্রধান ছাত্রাবাসে চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নগরীর চট্টেশ্বরী সড়কের এ ছাত্রাবাসে বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জাহিদ হাসান ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এসএ রায়হান ও মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র নামে চার শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। স্ট্যাম্প, পাইপ, লাঠি দিয়ে তাদের নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতনের শিকার চারজনই কলেজের ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জাহিদ হাসান ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজন নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখল সমন্বয়
পরবর্তী নিবন্ধসড়কে পিষ্ট দুই বন্ধুর স্বপ্ন