ব্যাংকে রাখা এফডিআর’র টাকা ও জায়গা সম্পত্তির লোভে মাকে গুলি করে খুন করা সেই পুত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে পটিয়া থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক প্রয়াত সামশুল আলম মাস্টারের পুত্র মাঈনুল ইসলাম ওরফে মাঈনুদ্দীন মাঈনুর (২৯) বিরুদ্ধে পটিয়া থানার উপ–পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শনিবার মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকে রাখা এফডিআর’র টাকা ও সম্পত্তির লোভে গত বছরের ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট পটিয়া পৌর সদরে নিজ বাড়িতে ছেলের গুলিতে খুন হন দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সামশুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৬০)। ঘটনার দিন থানা পুলিশ জাতীয় পার্টির পটিয়া অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আলমিরা থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করলেও এটি সচল নয় বলে দাবি করায় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সিআইডি দপ্তরে। দীর্ঘ ৫ মাস পর তদন্ত প্রতিবেদনে অস্ত্রটি সচল বলে রিপোর্ট দেয় সিআইডি। রিপোর্টটি পাওয়ার পর গতকাল শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে মাঈনুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাটি দায়ের করে। এর আগে খুনের ঘটনায় নিহতের মেয়ে শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মাঈনু চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে সে পরিচিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সাতকানিয়ায় গা ঢাকা দেয়। পরে সেখান থেকে গত বছরের ১৭ আগস্ট রাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কোচ যোগে ঢাকায় পালানোর সময় নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে র্যাব–৭ এর একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছেন।
পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাকে খুন করার পর জাতীয় পার্টির পটিয়া অফিস থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় অস্ত্রটি সচল নয় বলে দাবি করায় এটি সিআইডির মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পর অস্ত্রটি সচল হিসেবে রির্পোট পাওয়ায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে মাঈনুর বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা রেকর্ড হয়।