১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে অবস্থান নেয় ছাত্ররা

আজাদী ডেস্ক | শনিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

সরকারের ১৪৪ ধারা প্রবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ এর কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ৯৪, নওয়াবপুর রোডে আওয়ামী মুসলিম লীগের সদর দপ্তরে সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের বৈঠকে বসে।

এতে সভাপতিত্ব করেন আবুল হাশিম। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে কি হবে না, এই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে গিয়ে এই বৈঠকে কে কোন পক্ষে মত দিয়েছিলেন এ বিষয়ে রাজনীতি নিয়ে আলোচনার টেবিলে আজও নানা ধরনের বিশ্লেষণ পাওয়া যায়।

গাজীউল হক জানিয়েছেন, অলি আহাদ, মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি গোলাম মওলা, ঢাবি সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন এরা ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। ফজলুল হক হলের সহসভাপতি শামসুল আলম এদের সমর্থক ছিলেন।

মোহাম্মদ তোয়াহা যদিও ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে বক্তব্য পেশ করেছিলেন, কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্ত অন্যরকম ছিল বলে তিনি ভোটদানে বিরত থাকেন। কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ভাষাসৈনিক মোহাম্মদ তকীউল্লাহ বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি ১৪৪ ধারা ভাঙার বিষয়ে সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে চায়নি। তাদের বক্তব্য ছিল সংগ্রাম পরিষদই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্র সভা হবে তাতে ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে যদি রায় হয় তবে আমরা ভাঙার পক্ষে। অলি আহাদের বক্তব্যে আবুল হাশিম রেগে গিয়ে বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সভায় শামসুল হক সর্বদলীয় কর্মপরিষদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।

ছাত্ররা যদি তবুও ১৪৪ ধারা ভাঙে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সর্বদলীয় কর্মপরিষদের বিলুপ্তি ঘটবে। ১৪৪ ধারা যারা ভাঙতে চাননি তাদের যুক্তি ছিল সর্বদলীয় কর্মপরিষদ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়, বেআইনি কাজে তারা যাবেন না।

১৪৪ ধারা ভাঙা হলে সরকার নিপীড়নের সুযোগ পাবে, তাতে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। কর্মপরিষদে যেসব রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তাদের সামনে রাষ্ট্রভাষার সংগ্রামের চেয়ে পরিষদের নির্বাচন অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল।

আবার তারা সরকারের নিপীড়ন এড়িয়ে চলতে চেয়েছিলেন। বৈঠক চলার সময়েই অলি আহাদকে সভাকক্ষের বাইরে ডেকে ফজলুল হকের ছাত্র আবদুল মমিন ও মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র এম এ আজমল ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাল্টা নয়, আমরা আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি দিচ্ছি
পরবর্তী নিবন্ধগোঁয়াছি বাগানের স্থানই চূড়ান্ত