সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বেড়েই চলেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। দীর্ঘদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০–১৫০ টাকা ছিল। তবে গত এক সপ্তাহে হঠাৎ দাম বেড়ে দুইশ টাকা ছুঁইছুই হয়ে যায়। তবে পরে কেজিতে ২০ টাকা কমে যায়।
কিন্তু দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে এক লাফে ৩০ টাকা বাড়ে। ফলে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। গতকাল নগরীর কয়েকটি মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২০৫ টাকায়।
এছাড়া দেশি মুরগির কেজি ৫২০ টাকা এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। অপরদিকে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ী ও ফার্মের মালিকরা খাবারের দাম ও সরবরাহের খরচ বৃদ্ধির কথা বলে মুরগির দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে বেশি দামে কিনে খুচরা বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
কাজীর দেউরি বাজারের মুরগি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে আগের তুলনায় মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। মুরগির খাদ্যের দামও বেড়ে গেছে। যার ফলে মুরগির উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকে মুরগির শেডে বাচ্চা তুলেননি। ফলে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে।
ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, রমজান আসার আগেই প্রত্যেক নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। মুরগির দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ডিমের দামও বাড়ছে।