শতাধিক প্রজাতির ফুল, বাহারি উৎসব

পাল্টে গেল সেই স্থান

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে গত বছর ১৯৪ দশমিক ১৩ একর জায়গা উদ্ধার করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন। এই খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক গড়ে তোলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এছাড়া সেখানে রোপণ করা হয়েছে নানা ধরনের ফলদ ও বনজ গাছ।

ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফৌজদারহাটবন্দর সংযোগ সড়কের একেবারে সন্নিকটের এই ডিসি পার্কে গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে বাহারি এই ফুল উৎসবের। ব্যতিক্রমী এই উৎসব চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পুরো পার্ক জুড়ে দেশিবিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফুলের সমারোহ।

মাত্র অল্প কয়েকদিন আগেও যেখানে মাদকের আখড়া এবং অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিল এই জায়গা, সেখানে মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় চোখ জুড়ানোমন মাতানো ফুলের সমাহার! চোখ ধাঁধানো রঙবেরঙের ফুলে ফুলে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট থেকে বন্দরের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের ডিসি পার্কে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান।

পার্কের বিশাল এলাকা জুড়ে ছাউনির ভেতরে টিউলিপ ফুল ফুটে আছে। লাল, হলুদ, গোলাপি ও সাদা রঙের টিউলিপের অপূর্ব সমাহার। নেদারল্যান্ড থেকে আনা টিউলিপের বীজ থেকে গাছে ফুল ফুটতে সময় লাগে ২৫ থেকে ৩০ দিন। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পুরো এলাকা ফুল ও জলাশয়ের সমন্বয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১২২ প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং আরও লাগানো হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ফুল উৎসব নারীপুরুষ, শিশুকিশোর, যুববৃদ্ধ সব বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষের চিত্ত বিনোদনের উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে। দেশিবিদেশি শতাধিক প্রজাতির কয়েক লাখ ফুলের গাছ এখানে শোভা পাবে।

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত নিজেদের রোপণ করা বাহারি টিউলিপ ফুল রয়েছে দর্শণার্থীদের জন্য। নানান রঙের, নানান জাতের ফুলের পাশাপাশি এখানে কায়াকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, থাকবে সাম্পানের ব্যবস্থা। শিশুদের জন্য কিডস জোন, থাকবে মুক্ত আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যবস্থা।

ফুল উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পার্কের অভ্যন্তরে থাকা বিশালাকৃতির দৃষ্টিনন্দন দুই দীঘির মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা, দর্শণার্থীদের যাতায়াতের রাস্তাকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে, রংতুলির আচড়ে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণকে। অনুষ্ঠানস্থলের পাশেই বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

জানা গেছে, সার্বিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সম্পূর্ণ এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও দায়িত্ব পালন করছে। তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপহরণের পাঁচদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধআসলাম চৌধুরীর ছোট ভাই গ্রেপ্তার