প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে জয় পেয়েছে রাইজিং স্টার জুনিয়র। রাইজিং স্টার ক্লাব লিগে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে। তবে রাইজিং জুনিয়র প্রথম জয় তুলে নিল। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রাইজিং স্টার জুনিয়র ৫৩ রানে পরাজিত করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। লিগে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হারল মোহামেডান।
লিগের তিন রাউন্ড শেষে কোন জয় না পাওয়া দল মোহামেডান। বাকি সব দলই এক বা একাধিক জয় পেয়েছে। অপরদিকে ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান যেন হেরেই চলেছে। এবার রাইজিং স্টার ক্লাবের দ্বিতীয় দলের কাছে হারল।
সবশেষ কবে মোহামেডান ফুটবল কিংবা ক্রিকেটে শিরোপা জিতেছে সেটা বোধহয় কমকর্তাদেরও মনে নেই। গত আসরেও মোহামেডান প্রিমিয়ার থেকে প্রথম বিভাগে নেমে যেতে পারতো । কিন্তু এফএমসি স্পোর্টসকে অনেকটা জোর করে সাসপেন্ড করায় সে যাত্রায় অবনমনের লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। এখন বোধহয় ক্লাবটি ঐতিহ্য আর নেই। কারন এখন যখন তখন যেকোন দলের কাছেই হারছে প্রতিনিয়ত।
আর এ নিয়ে ক্লাবটির কর্মকর্তাদেরও যেন কোন ধরনের মাথা ব্যাথা নেই। ভাবখানা এমন হারছে তো কি হয়েছে। হারতে হারতে হয়তো একদিন জিতবে। দলের হারের বেদনা যেন এখন আর স্পর্শ করেনা মোহামেডানের কর্মকর্তাদের। যেন সবকিছু গা সওয়া হয়ে গেছে।
তাইতো এই হার যেন মোহামেডান কর্মকর্তাদের জন্য নিত্য নৈমিত্তিক একটা ব্যাপার। দল হারলে কি আর আসে যায়। কর্মকর্তা হিসেবে নিজের চেয়ারটাতো বহাল আছে। আর সেটাই যেন থাকলেই হলো মোহামেডান কর্মকর্তাদের। দলের জয় পরাজয় কোন ব্যাপার না।
গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নামা রাইজিং স্টার জুনিয়র ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারালেও মিডল অর্ডার এবং শেষের দিকের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ২৪৩ রানের বড় স্কোর দাঁড় করায়। বিশেষ করে রাকিবুল হাসানের ৫৩ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস দলের স্কোর আড়াইশর কাছাকাছি নিয়ে যায়।
দলের পক্ষে রাকিবুল ছাড়াও আবদুল্লাহ জিসান করেন ৩৭ রান। অন্যান্যের মধ্যে আল আমিন ১৮, হাবিবুর ২৭, তারেক আজিজ ২৫ এবং আশরাফুল হোসেন করেন ২৮ রান। মোহামেডানের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন নজরুল। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সেন্টু এবং সাব্বির।
২৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহামেডানের দুই ওপেনার ৩৪ রান যোগ করলেও পরের ব্যাটাররা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। কোন ব্যাটারই উইকেটে দাঁড়াতে পারেনি। বলা যায় তারা যেন উইকেটে দাড়াতেই চায়নি।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা তানভীর যা একটু লড়াই করে বড় হারের লজ্জা থেকে দলকে রক্ষা করেছেন। মূলত তার ১০৪ বলে ৫৮ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৪৮ ওভারে ১৯০ রান করে অল আউট হয় মোহামেডান। দলের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে সাব্বির ১০, ইশতিয়াক ২৭, মোখলেস ১৮, সেন্টু ১০, তানভীর সাদাত ১১ এবং জলিল ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রাইজিং স্টার জুনিয়রের পক্ষে শাহাদাত হোসেন এবং তাসামুল হক নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন তারেক আজিজ। একটি উইকেট নিয়েছেন নাঈম ইসলাম।
আজকের খেলা : আবাহনী লিঃ এবং সিটি কর্পোরেশন একাদশ।