পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে পথ দেখায় আলোচনা। যেকোনো সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে। ভিন্ন মত থাকতেই পারে। তবুও ভালো কাজকে ভালো ও মন্দ কাজকে মন্দ বলার সাহস গড়ে তোলা উচিত। বিরোধিতা করতে হবে বলেই সমালোচনা করা হীনম্মন্যতার পরিচয় দেয়। জাতিসংঘ গঠিত হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার জন্যই। সবকিছুর সমালোচনা থাকবেই, এটাই স্বাভাবিক। সমালোচিত তারাই হয় যারা কিছু একটা কাজে ব্যতিক্রম আনে। সমালোচিত হবার ভয়ে ভালো কাজে পিছপা হওয়া উচিত নয়। ভালোভাবে সমালোচনা গ্রহণ করতে জানলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তখন আলোচনা আলোর পথ দেখায়। তবে সমালোচনা স্থান ও সময় সুযোগ বুঝে করতে হয়। নতুবা সুযোগ সন্ধানী এর অপব্যবহার করতে পারে। অভিভাবকদের এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কারণ এতে সন্তানের নৈতিক মূল্যবোধ তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে। তাই সন্তানের সামনে শিক্ষকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন। সমালোচনা কমিয়ে আলোচনা বাড়ান। পৃথিবীর নিকৃষ্ট প্রাণীরও কিছু ভালো গুণ থাকে। যেমন হায়েনার বাৎসল্য গুণ। যেহেতু সমালোচনা কোনো পক্ষপাতদুষ্ট আলোচনা নয়। সম + আলোচনা = সমালোচনা, তাই দোষ গুণ দুটোই গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং বলতেই পারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাই হোক, উন্নয়নের শ্লোগান – স্বল্প সমালোচনা বৃহৎ আলোচনা।