চার মাস পর খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএস কর্মসূচি গতকাল বন্ধ হয়ে গেছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নগরী ও জেলায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করে। চার মাস চলার পর গতকাল ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ওএমএস কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে। চাল ও আটার বাজারের ঊর্ধ্বমুখীতে সরকার সাধারণ মানুষের জন্য ওএমএস কর্মসূচি চালু করেছিল। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামের চাল এবং ২৪ টাকা দামের আটার জন্য প্রতিদিন ট্রাকের সামনে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন ছিল। প্রতিদিন নগরীতে সাড়ে ১১ হাজার ক্রেতা এবং উপজেলায় ১০ হাজার ৮শ জন ক্রেতার মাঝে ১১০ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হতো। এই কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়বেন সাধারণ মানুষ। খোলাবাজার থেকে প্রতি কেজি চাল প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা কম দামে বিক্রি হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেকটা স্বস্তি পায়। আবার কখন শুরু হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন খাদ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসব্যাপী ন্যায্যমূল্যের বিশেষ ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম চলেছিল। এই কার্যক্রমের আওতায় প্রতিদিন নগরীতে ১৪টি ট্রাকের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন করে। পাশাপাশি নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমেও নগরীর ১৯টি পয়েন্টে দোকানে দেড় মেট্রিক টন করে চাল এবং ১ মেট্রিক টন করে আটা বিক্রি করা হয়েছে। একজন ক্রেতা খোলা ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল কিনতে পেরেছেন। এছাড়া ডিলারের দোকান থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি আটা কিনতে পেরেছেন। এই কার্যক্রম ৩১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন নগরীতে সাড়ে ১১ হাজার ক্রেতার জন্য ৫৬ মেট্রিক টন চাল এবং ৪ হাজার ক্রেতার মাঝে ১৯ মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ ছিল। উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ৮শ জন ক্রেতার জন্য ৫৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ ছিল।