অ্যাডভেঞ্চার পিয়াসীদের জন্য রোমাঞ্চকর নানা অ্যাক্টিভিটিজ নিয়ে ফয়’স লেকে যাত্রা শুরু হলো বেসক্যাম্পের। বেসক্যাম্পে থাকছে কায়াকিং, আর্চারি, ক্রাইম্বিং ওয়াল, উড কেবিন, ট্রি টপ অ্যাক্টিভিটি, অন গ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি, টিম বিল্ডিং গেম, হিউম্যান ফুসবল ও জিপ লাইনসহ নানা অ্যাক্টিভিটিজে অংশ নেয়ার সুযোগ। আরো থাকছে মাড ট্রেইল, পেইন্ট বল গ্রুপ ক্যাম্পিং, নাইট ট্রেইল, ট্রেজার হান্টের মতো রোমাঞ্চকর অ্যাক্টিভিটিজ। সবুজ পাহাড় ও স্বচ্ছ নীল জলের আবহে এই বেসক্যাম্প বিশেষ করে তরুণ ও কিশোরদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। গতকাল দুপুরে বেলুন উড়িয়ে ফয়’স লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অতিথি হিসেবে ছিলেন বেসক্যাম্প অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুব জামান, কনকর্ড গ্রুপের এমডি শাহরিয়ার কামাল, বেসক্যাম্প অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের ফাউন্ডার ও এমডি তামজীদ সিদ্দিক স্পন্দন এবং কনকর্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) অনুপ সরকার।
উদ্বোধনকালে বেসক্যাম্প অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুব জামান বলেন, অ্যাডভেঞ্চারই বিনোদন। আমরা বিশ্বাস করি অমিত শক্তি সবার আছে। তবে একটা বয়স থাকে। এই বেসক্যাম্প বিশেষ করে তরুণ–কিশোরদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। শিক্ষামূলক বিষয়ও কিন্তু এখানে থাকছে। আমরা ট্যুরিজমে ভিন্নতা আনতে চাই। অ্যাক্টিভিটি দিতে চাই। ট্যুরিজমকে ছড়িয়ে দিতে চাই সারা দেশে। ফয়’স লেক বেসক্যাম্প নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। নতুন এই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য কনকর্ড গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা মাত্র শুরু করেছি। অনেক দূর যেতে পারব আশা করি।
কনকর্ড গ্রুপের এমডি শাহরিয়ার কামাল বলেন, আমাদের ১৪টি প্রতিষ্ঠান আছে। সুস্থ বিনোদনে ২০০২ সালে কনকর্ড সর্বপ্রথম থিম পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম চালু করে। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ফয়’স লেকের যাত্রা শুরু। এখানে ইকো সিস্টেম মেনটেইন করার চেষ্টা করেছি, যাতে পরিবেশ–প্রকৃতির কোনো ক্ষতি না হয়। এখন এই ফয়’স লেকে যৌথভাবে আমরা বেসক্যাম্পের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। এটি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের বেসক্যাম্পের চেয়ে কম হবে না।
কনকর্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) অনুপ সরকার বলেন, ফয়’স লেকের দর্শকদের ভিন্নধর্মী বিনোদন দিতে এই বেসক্যাম্প। বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে এ আয়োজন। এখন পর্যটন শিল্পের মূল আকর্ষণ অ্যাডভেঞ্চার। এখানে তাঁবুতে রাত যাপনের ব্যবস্থা আছে।
বেসক্যাম্প অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেডের এমডি তামজীদ সিদ্দিক স্পন্দন বলেন, মানুষ যত সভ্য হচ্ছে তত সে নিজেকে চিনতে চায়। আমাদের লোগোতে বাঘের মাথা আছে। আমরা মনে করি প্রত্যেকের ভেতর অমিত শক্তি আছে। আমরা চাই মানুষ তাঁবুতে থাকবে। নাইট সাফারি করবে। মানুষ যখন নিজের শক্তি সম্পর্কে জানতে পারে, তখন পৃথিবী বদলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, সুস্থ বিনোদন কতটা জরুরি সেটি আমরা অনুভব করি। আমরা এখানে বেসক্যাম্পের জন্য একটি গাছও কাটিনি। যতটা কম ইট–পাথর ব্যবহার করেছি। আমাদের সব গিয়ার, হ্যালমেট ফ্রান্স থেকে এনেছি। ফিজিক্যালি ফিট মানুষই বেসক্যাম্প অ্যাক্টিভিটি করতে পারবে। আমরা ট্রেইনার রেখেছি যাতে ভয় কাটিয়ে মানুষ অংশ নিতে পারে। আমরা চাই মানুষ তার কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসুক। চ্যালেঞ্জ নিক।
মাউন্টেনিয়ার ডা. বাবর আলীও নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। বেসক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা থাকছে জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, দেড়শ থেকে তিন হাজার টাকায় অ্যাডভেঞ্চারমূলক নানা অ্যাক্টিভিটিজে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে। কেউ চাইলে এককভাবেও অংশ নিতে পারবেন। তবে ৫ থেকে ১০ জনের গ্রুপ হলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাছাড়া তাঁবুর পাশাপাশি কেউ চাইলে এসি কক্ষে থাকতে পারবেন।