ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, সারা দেশে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে জীবন কেড়ে নিচ্ছে। বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ে দেশব্যাপী এ রক্তের স্রোত বইছে। বাংলাদেশের চেয়েও তার কাছে ক্ষমতালিপ্সা প্রিয়।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে আয়োজিত নগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বিকালে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুন অর রশিদ ভিপি।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর থেকে ক্ষমতালোভের কারণে জনগণের প্রতি অমানবিক আচরণ করে আসছে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করে পুরো জাতিকে খণ্ড–বিখণ্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশে–বিদেশে বিলাসী জীবন যাপনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহাদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। গণতন্ত্রকে কঙ্কালে পরিণত করে চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। অবৈধ সরকারের তাণ্ডবে বিরোধী দল, ভিন্নমত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার সবকিছুকেই ডাকাতি করা হয়েছে।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিভাগীয় সমাবেশ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে করব। এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম মহানগরে। নগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পলোগ্রাউন্ডের মতো জনসমাগম হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারের শত দমন নিপীড়নকে আমরা ভয় পাই না। নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের যে পদযাত্রা শুরু হয়েছে, তা হচ্ছে বিজয়ের পদযাত্রা। আর আওয়ামী লীগের জন্য মরণযাত্রা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড. মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।