চারদিন ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবচার (৪৩)। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা কাছিম আলী গত শুক্রবার বাদী হয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।
পুলিশ জানায়, তাকে উদ্ধারে সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। একইসাথে প্রযুক্তির সহায়তায় তার ব্যবহৃত মোবাইলের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ মোবাইলের অবস্থান শনাক্ত হয় চট্টগ্রামের পটিয়ায়। চকরিয়া থানার পুলিশ সেখানে গিয়েও খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু এখনো তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ থাকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরে হোছাইন আরিফ এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ভুট্টো সিকদার। তারা জানান, ব্যক্তিগতভাবে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবচারের সঙ্গে বদরখালীর কারোরই পূর্ব থেকে শত্রুতা নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও তিনি পেশায় একজন মাটিয়াল ও লবণশ্রমিকের মাঝি হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদে বর্তমান লবণ উৎপাদন মৌসুমে পাশের উপজেলা পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নে লবণশ্রমিক নিয়ে মাঝি হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।
নিখোঁজ নুরুল আবচারের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক আরো জানান, একনাগাড়ে চারদিন ধরে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি রহস্যজনক। তাকে কী পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে নাকি এর পেছনে অন্যকোনো কারণ রয়েছে তা আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীই বের করতে পারবে। যদি অপহরণের শিকার হত তাহলে হয়ত অজ্ঞাত স্থান থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হত। কিন্তু এখনও সেরকম কিছু ঘটেনি। তাই এই নিখোঁজের ঘটনাটি নিয়ে বদরখালীবাসীর কাছে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে।
অবশ্য নুরুল আবছারের বাবা কাছিম আলী দাবি করেছেন, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে কারা এবং কেন তাকে অপহরণ করতে পারে সেই বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট ধারণা তিনি দিতে পারছেন না। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ছেলে গত ২৫ জানুয়ারি সকালে কর্মস্থল পেকুয়ার উজানটিয়ার লবণ মাঠের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী গতরাতে দৈনিক আজাদীকে বলেন, পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে নিখোঁজ থাকা নুরুল আবচারকে উদ্ধারের বিষয়ে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে তৎপর রয়েছে।