ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত আজারবাইজানের দূতাবাসে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার এ হামলায় হতাহত হয়েছেন মোট তিনজন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকালে হামলার ঘটনায় দূতাবাসের এক প্রহরী নিহত হয়েছেন। হামলাকারী নিরাপত্তা চৌকি পার হয়ে এসে কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করে আজারবাইজান দূতাবাসের নিরাপত্তা প্রধানকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে। তদন্ত চলছে। খবর বাংলানিউজের।
হামলার ঘটনার পর বেশ কয়েকটি ছবি–ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ছবিতে দূতাবাস ভবনের ভেতরকার একটি দরজার কাঁচ ভাঙা দেখা গেছে। বেশ কিছু ক্ষতিও হয়েছে। হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে তেহরানের পুলিশ। হামলার পেছনে উদ্দেশ্য কি সেটি নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুরো ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কাজ জারি রেখেছে।
ইরানের আধা–সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম তেহরানের পুলিশের প্রধানের বরাত দিয়ে বলেছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি দুটি ছোট বাচ্চাসহ আজারবাইজানের দূতাবাসে প্রবেশ করে। তারা সম্ভবত ‘ব্যক্তিগত সমস্যা’র কারণে ঘটনাটি ঘটায়। আজারবাইজানের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র তুরস্ক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
লাখেরও বেশি আজারবাইজানী ইরানে বসবাস করেন। এদিকে, দুই দেশের দুই রাজধানীর সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে তিক্ত। অপরদিকে তুর্কি ভাষী আজারবাইজানীরা ইরানের ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্ধী তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাই বাকু থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রতিনিয়ত ইরানে জাতিগত আজারবাইজানীদের উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তেহরান।












