প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ইস্পাহানী-বন্দর ম্যাচ টাই

৯২ রানে অপরাজিত থাকেন আবদুল কাদের রাসেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৯:২২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার টাই ম্যাচ দেখল দর্শকরা। অনেকদিন পর চট্টগ্রামের ক্রিকেট লিগে কোন ম্যাচ টাই হলো। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিীতাপূর্ণ ম্যাচটিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতির করা ২৬৭ রান টপকাতে পারেনি ইস্পাহানী এস সি। দু দলের স্কোর সমান হয়ে যায়। শুধু তাই নয় কাকতালীয়ভাবে দু দলই খেলেছে নির্ধারিত ৫০ ওভার ।

আর হারিয়েছে ৭ উইকেট। সবদিক থেকেই যেন টাই। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে মুলত ব্যাটসম্যানরাই রাজত্ব করেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচশর কাছাকাছি রান হয়েছে দুই ইনিংস মিলে। খুশির খবর হচ্ছে দু দলেই ঢাকার চারজন করে আট জন ক্রিকেটার খেললেও চট্টগ্রামের ক্রিকেটাররাই ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছে। আগেরদিন সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের মইনুল হাসান।

আর গতকাল সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরেছেন বন্দর দলের আবদুল কাদের রাসেল। এই টাই এর ফলে দু দল এক পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করল।

এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সকালে টসে জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং এর আমন্ত্রন জানায় ইস্পাহানী অধিনায়ক। তবে বন্দর দল বেশ ভালই শুরু করেছিল। দৃুই ওপেনার যোগ করে ৩৫ রান। ২২ রান করে ফিরেন সাব্বির। এরপর দলের সব ব্যাটারই অবদান রেখেছে ব্যাট হাতে। যদিও ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টেনে নেন আবদুল কাদের রাসেল এবং মইন খান।

দুজন যোগ করেন ৯৫ রান। ৩৮ বলে ৪৭ রান করা মইন খান ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। তবে একপ্রান্তে অটল ছিলেন আবদুল কাদের রাসেল। ইনজামামকে নিয়ে ৩৬ রান যোগ করেন। কিন্তু অপরাজিত থাকলেও নিজের সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে পারেননি রাসেল। যদিও খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস। ৮২ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। তার ব্যাটে ভর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি সংগ্রহ করে ২৬৭ রান।

দলের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে ওমর ফারুখ ৩৩, মইনুল ইসলাম ১৩, রুবলে ১৫ এবং ইনজামাম করেন ১১ রান। ইস্পাহানীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রনি এবং সোহেল। ২৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫১ রান যোগ করেন ইস্পাহানীর দুই ওপেনার। ২২ রান করে ফিরেন হাসানুজ্জামান। তবে দলের পক্ষে দারুন লড়াই করেন তাউসিফ। তিনিও চট্টগ্রামের ক্রিকেটার। তার দারুন ব্যাটিংয়ে এক সময় জয়েরও স্বপ্ন দেখছিল ইস্পাহানী।

আর তাকে দারুন সঙ্গ দিচ্ছিলেন মইনুল সোহেল। দলকে ১৬১ রানে পৌছে দিয়ে ফিরেন তাওসিফ। তিনি করেন ৮৪ বলে ৭১ রান। মেরেছেন ৬টি চার। শেষ দিকে বলের চাইতে প্রয়োজনীয় রান বেশি হয়ে গেলেও দারুন লড়াই করেছে ইস্পাহানী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। যদিও ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সোহেল। ৪৩ বলের ইনিংসে ৫টি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। শেষ তিন ওভারে ইস্পাহানীল দরকার ছিল ২৭ রান।

৪৮ তম ওভারে আসে ১১ রান। শেষ দুই ওভারে দরকার ১৬ রান। কিন্তু ৪৯ তম ওভার থেকে মাত্র তিন রান নিতে পারে ইস্পাহানীর ব্যাটাররা। ফলে শেষ ওভারে ইস্পাহানীর জয়েল জন্য দরকার পড়ে ১৩ রান। কিন্তু মইনুল সোহেল ১২ রান নিতে সক্ষম হয়। আর তাতে ম্যাচটি টাই হয়।

দলের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে শুভ দাস ১৮, অমিত হাসান ৩০, ইমরুল করিম ১৮, ইফতেখার রনি ২৩ এবং রায়িদ করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া্‌ সমিতির পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহাদ হোসেন এবং আরিফ আহমেদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব আন্তঃ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু
পরবর্তী নিবন্ধইরানে আজারবাইজানের দূতাবাসে সশস্ত্র হামলা, নিহত ১