সিনেমা কেবল দৃশ্যের পরে দৃশ্যের বয়ে চলা এমনটা নয়, সিনেমা তার দর্শককেও ভাসিয়ে নিয়ে চলে ভাবনার মহাসমুদ্রে। সিনেমার কত রকমফের আছে জানা নেই, কোন পাঠে তা রাজনৈতিক হয়ে উঠে তাও এক বিস্ময় বটে। রাজনৈতিক সিনেমার সাথে তাই কখন সবিনয়ে পরিচয় হয়েছে বা এসবের সংজ্ঞা খোঁজাও মহা জটিল ঠেকে। বোধ করি অল্প বয়সে দেখা ‘‘ইভান’স চাইল্ডহুড’’ কিংবা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ র মধ্য দিয়ে সিনেমা তার রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রত করেছিলো।
কমরেড বিদ্যুৎ ভৌমিক চট্টগ্রামের পরিচিত নাম। ‘বিদ্যুৎ ভৌমিক’ নামের সাথে পরিচয় ঘটে কবি সৈকত দে’র লেখা বই ‘অন্ধ হয়ে আসা চোখ’র উৎসর্গপত্রে, সযত্নে তুলে রাখা প্রয়াত সারথিদের তালিকায়। এছাড়া যত নামটি শুনেছি, কেবল হা–হুতাশ ছাড়া কিছু ছিলো না, কেন দেখা হলো না বলে! তবুও নিজেদের পথযাত্রীকে কেউ–কেউ মনে রাখে, তুলে আনে তার মতাদর্শ–ভাবনাকে।
‘কমরেড বিদ্যুৎ ভৌমিক স্মারক বক্তৃতা ২০২২; বিষয় রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের সূচনা ও বিকাশ’ নামক অনুষ্ঠানের আয়োজনই আজ আবারো বিদ্যুৎ ভৌমিককে নিয়ে স্মৃতিচারণ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিকুল আনোয়ার রাসেল’র প্রবন্ধ বিষয়ক আলোচনাই সমস্ত লেখাকে উজ্জীবিত করে।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল (পূর্ব–৩) এর আয়োজনে এ–স্মারক বক্তৃতার মূল প্রবন্ধ ‘রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের সূচনা ও বিকাশ’ নিয়ে আলোচনা হয়তো খানিকটা হলেও বিদ্যুৎ ভৌমিকের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়ে উঠবে বলে আশা রাখি।
আব্বাস কিয়োরাস্তমির সিনেমা নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের সূচনা মনে করিয়ে দেয় কোনো কিছুই রাজনীতির উর্ধ্বে নয়। রাজনৈতিক সিনেমা ঠিক কি তাও জটিল প্রশ্ন এখন। তাই সংজ্ঞাতে না গিয়ে রাজনৈতিক সিনেমার বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা লেখার কাঠামোকে ভিত্তি দেয়।
প্রথম দিকে সিনেমার উদ্দেশ্য কেবল বিনোদন হলেও ধীরে ধীরে তা রাজনৈতিক অবয়ব ধারণ করে। সময়ের দিক থেকে প্রথমে আসে ‘বার্থ অব নেশন’। একই সাথে দাসপ্রথা, বর্ণবাদ, আব্রাহাম লিংকনের গুপ্তহত্যা ভাবিয়ে তোলে তৎকালীন পটভূমি। তবে বিনোদন দেওয়া এবং নেওয়া উভয়ই শ্রমের বিষয় ও শ্রমের সাথে অর্থের যোগান এবং অর্থনৈতিক লাভ–ক্ষতিও সিনেমার রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে যুক্ত হলো। অর্থনৈতিক চাহিদার সাথে নিমিষে শ্রেণি ভাবনাও ঢুকে গেল। ফলে চলচ্চিত্র প্রথমেই সাধারণ জনগণের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়ালো। সমশ্রেণি ভাবনাও তাই চলচ্চিত্রকে রাজনৈতিক করে তুলতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলা যায়।
চলচ্চিত্রে যখনই রাজনৈতিক আবহ ঢুকতে লাগলো এর সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, দর্শক, সমালোচকরাও নতুনভাবে আলোচনায় আসলো। লেনিনের উক্তিতে যা যথেষ্ট প্রতীয়মান। ফলে দেখা যায় সোভিয়েত পরবর্তীতে রাজনৈতিক সিনেমা নতুন নন্দনতত্ত্ব লাভ করে। আদর্শ ও সমাজতান্ত্রিক মতবাদ প্রচারের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সোভিয়েত চলচ্চিত্রের ‘সোসালিস্ট রিয়্যালিজম’ ধারা আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । যেমন সের্গেই আইজেনস্টাইন, জিগা ভের্তভ, আলেক্সজান্দার দভজেঙ্কো, ভেসেভলদ পুদোভকিন তাঁদের অনবদ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সোভিয়েত দেশের সর্বহারা শ্রেণির ইতিহাস, সংগ্রাম ও প্রলেতারিয়েত বিপ্লবী জনগণের চিত্র ফুটিয়ে তুললেন। যদিও এসবকে সরাসরি রাজনৈতিক আখ্যা না দিয়ে সমাজতান্ত্রিক চলচ্চিত্র বলতেই বেশি দেখা গেলো।
রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট নির্মাণে দেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনগুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফলে, শুরু থেকেই বিশ্ব চলচ্চিত্রের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার অডিও ভিজুয়াল আলোকপাত করা হয় আলোচনার পাশাপাশি। চলচ্চিত্রের বিপুল আবেদনের জায়গা আছে ফলে অর্থনৈতিক বিষয়টার যোগসূত্র থেকেই গেলো। লেখকও সে সূত্রের ইঙ্গিত টেনে বললেন, ১৯৩০–এর পরে অর্থনৈতিক মন্দার সময় ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি বা স্পেন দেশগুলোতে চলচ্চিত্র শিল্পে স্থবিরতা দেখা দেয়। চলচ্চিত্রের যাত্রা ইউরোপ থেকে শুরু হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর এখানেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠল চলচ্চিত্রের বৃহৎ ইন্ডাস্ট্রি–হলিউড। বর্তমানে ভারতের বোম্বাই , বাংলা বা দক্ষিণের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি সম পর্যায়ের বৃহৎ, সাথে অন্যান্য ইউরোপ, এশিয়া, আরব দেশগুলোতে সহযোগী চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে উঠেছে। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে রিজিওনাল ইন্ডাস্ট্রি আকৃতিতে ছোট হলেও তারা বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণে একইভাবে এগিয়ে আছে। বিংশ শতকের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, যুদ্ধোত্তর হতাশাগ্রস্ত বাস্তবতায় ইউরোপের চলচ্চিত্র শিল্প আগের কাঠামোগত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। নির্মাতাদের স্বল্প খরচে, নতুন অভিজ্ঞতার আলোকে শিল্প, মানুষ আর সামাজিক বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করলে তা ধীরে ধীরে আবার জনপ্রিয়তা পায়। দেশে দেশে আবির্ভাব হয় প্রতিভাবান চলচ্চিত্রকারদের, আর তাদের হাত ধরে ইতালিতে ‘নিউ রিয়ালিজম’, ফ্রান্সে ‘নুভেল ভাগ’ , জার্মানিতে ‘ নিউ জার্মান সিনেমা’, ভারতীয় উপমহাদেশে ‘প্যরালাল সিনেমা’ আর দক্ষিণ আমেরিকায় ‘সিনেমা নোভো’ নামে চলচ্চিত্রের প্রভাব বিস্তারকারী আন্দোলনগুলো বিস্তার লাভ করে।
প্রবন্ধের এ–অংশে বলা যায় সিনেমা ধীরে ধীরে তার রাজনৈতিক বহিঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে আরো পাকাপোক্ত হচ্ছে এবং বলিষ্ঠ সচেতন ভূমিকায় দাঁড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রবন্ধে উল্লেখিত বেশিরভাগ সিনেমাই দর্শকের রাজনৈতিক চেতনার সাথে রুচিশীলতাকেও বৃদ্ধি করে। তবে মানুষ মাত্রই গতিশীল, সময়ের সাথে তৃতীয় বিশ্বে সকলের পদার্পণ নতুন ধারার রাজনৈতিক সিনেমার সাথেও আমাদেরকে যেমন পরিচয় করায় তেমনই সিনেমার নতুন ধারার সূচনা করে। বলা যায় ‘তৃতীয় চলচ্চিত্র’ ধারণা স্পষ্ট করে তুলে রাজনৈতিক সিনেমার ধারণাকে। উল্লেখ্যযোগ্য ফারনান্দো সোলানাস ও অক্টিভিউ গেটিনি তাদের থার্ড সিনেমার তত্ত্বকে রূপ দিলেন তাদের তিন পর্বের কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘আওয়ার অফ দি ফারনেসেস’ ( ১৯৬৮) । এই চলচ্চিত্রে লাতিন আমেরিকার কলোনিয়াল শাসন–নিপীড়নকে অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ব্যাখা করা হয়। যাতে জনগণ তার বর্তমান সময়কে আত্মস্থ করতে পারে।
প্রবন্ধে আলোচনা করা হয় কিভাবে লাতিন আমেরিকার তৃতীয় চলচ্চিত্রের প্রতিবাদী ও বিপ্লবী ভাবনার প্রভাব সরাসরি ইউরোপের আর্টহাউস ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলোকেও প্রভাবিত করেছে। কিছুদিন আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া কিংবদন্তি নির্মাতা জ্যঁ লুক গদারের রাজনৈতিক ভাবনার বিশ্লেষণ জীবনদর্শন কিভাবে বদলে দিল। এরপরেই দেখা যায় আলজেরিয়ার গণআন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতালি পরিচালক গিলোস পন্টিকার্ভো নির্মাণ করলেন ব্যাটল অফ আলজিয়ার্স (১৯৬২)। ইউরোপের মাটিতে সম্ভবত এটাই প্রথম সার্থক আধুনিক রাজনৈতিক কাহিনিচিত্র। ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসন হতে আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের (১৯৫৪–৬২) পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের বিষয় আলজিরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন। গ্রিসের চলচ্চিত্র নির্মাতা কস্টা গাভরাসের চলচ্চিত্র জি, স্টেট ইফ সীজ, মিসিং সহ অন্যান্য চলচ্চিত্রের আলাপ থেকে উঠে আসে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো কিভাবে দেশে দেশে নিজেদের পছন্দের সরকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আর বিপ্লবী কণ্ঠকে হত্যা, গুম, দেশত্যাগ , নির্যাতন আর নিপীড়নের মাধ্যমে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এই সময় থেকে বিশ্ব চলচ্চিত্রের রাজনৈতিক ধারা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। শিল্প, বিনোদন, নান্দনিকতার বাইরে গিয়ে দর্শক চলচ্চিত্রের নতুন দর্শন রাজনৈতিক ন্যারাটিভের সাথে পরিচিত হয়।
রাজনৈতিক সিনেমা অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত, সাবলীল বক্তব্যই সমস্ত প্রবন্ধের রস আস্বাদন করে। এক্ষেত্রে বিশ্লেষণটি রাজনৈতিক সিনেমার সাথে রাষ্ট্রীয় যোগসূত্রের সমীকরণও ভালোভাবে টেনেছে। এরপরেই সত্তর দশকে সত্যজিতের রাজনৈতিক সিনেমাকে নাকচ না করার আলোচনা যেন আপামর বাংলায় সত্যজিৎপ্রেমিদের কাছে আগ্রহের সঞ্চারও করবে। ‘দড়ি ধরে মার
টান, রাজা হবে খান খান’ বক্তব্যে অত্যাচারী হীরক রাজার অপসারণের আহ্বান ছিল শুধু নাকি অনবদ্য অন্যকিছু তা যেন এখন সকলেরই জানা।
প্রবন্ধে সত্তর দশকের ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের কথাও লেখার গাঢ়ত্ব বাড়ায় কেননা সমস্ত রাজনৈতিক পটভূমিতে সে–আশা কেউ করেননি বোধহয়। কিন্তু ইরানের ইসলামী সরকারের সমালোচনাকারী নির্মাতা বাহমান গবাদী বা জাফার পানাহির নামে আলোচিত হয়। সামরিক সরকারের অধীনে থাকা দেশ তুরস্কের চলচ্চিত্রকার ইলমাজ গু’নের জীবন ও রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের প্রসঙ্গও বাদ যায়নি।
রাজনৈতিক সিনেমা মানুষের কাছে পথপ্রদর্শকের মত। পরিচালকের সকল আহ্বান বা সংকেত দর্শক কিভাবে বুঝে নিচ্ছেন তা নিরপেক্ষ। কিন্তু তাই বলে কোনো বক্তব্য গ্রহণ না করলেও যে ফেলে দেওয়া যায় না তারই সুন্দর প্রমাণ আনলেন ক্রোয়েশিয়ার পরিচালক এমির কস্তুরিকার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে। করেছেন কাশ্মিরি ফাইলস নিয়ে আলোচনা কিংবা সমাজতান্ত্রিক গণচীনের মত গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র ‘আ ফেয়ারঅয়েল মাই কঙ্কুবাইন’ আর ‘টু লিভ’ সিনেমার পটভূমি নিয়েও।
প্রবন্ধের ইতি টানার আগে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক চলচ্চিত্রচর্চা বিষয়ক আলোচনা একজন দেশীয় সিনেমাপ্রেমীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বৈকী। এক্ষেত্রে জহির রায়হানের হাত ধরে সূচনা। বলছেন, ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবি দিয়ে শুরু এরপর আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম । স্টপ জেনোসাইড, লেট দেয়ার বি লাইট, ভারত ও বাংলাদেশের নির্মিতি মুক্তিযুদ্ধকালীন বা পরবর্তী চলচ্চিত্র সমূহকে আমরা সরাসরি রাজনৈতিক চলচ্চিত্র বলতে পারি কিনা এই বিষয়ে তর্ক হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী কাহিনিচিত্র, তথ্যচিত্র বা মুক্ত বা বাণিজ্যিক ধারায় রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের অনুপস্থিত দীর্ঘসময় ধরে লক্ষণীয়। বলাবাহুল্য সামাজিক অস্থিরতা, সংঘাত, ধনীগরীব বৈষম্য, অনাচার, ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি সব নানা চলচ্চিত্রে উঠে এলেও, তা কখনো সরাসরি রাজনৈতিক হয়ে ওঠার সাফল্য দেখাতে পারেনি। যে–অর্থে সকল চলচ্চিত্র রাজনৈতিক, সেই অর্থে এসব সিনেমাও রাজনৈতিক ভাবনাকে ধারণ করে থাকে, কিন্তু তা অনেকটাই অস্পষ্টভাবেই।
রফিকুল আনোয়ার রাসেলের প্রবন্ধের উপর বিশেষ আলোচনা করেন কবি মানিরুল মনির এবং তরুণ রাজনৈতিককর্মী আমির আব্বাস। আলোচকরা নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে মতাদর্শের ভিত্তিতে কিছু কিছু চলচ্চিত্রের বিষয়, প্রেক্ষাপট, দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে উপস্থিত শ্রোতাদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রবন্ধকার তথ্য ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে যথাযথ ব্যাখা দেন। তর্ক–বিতর্ক অনেক বিষয় নিয়ে হতেই পারে তবে যেটা জরুরী তা হলো সিনেমা। প্রবন্ধের ইতি টানতে গিয়ে সিনেমার প্রয়োজনীয়তার কথা যেমন এসেছে তেমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন হাজারো লেখক। কম্পিউটার মেডিয়েটেড যুগে রাজনৈতিক সিনেমার কি আর প্রয়োজন নেই? সকল দেশ কি যুদ্ধ, সংকট, আগ্রাসন কিংবা নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছে? রাজনৈতিক সিনেমার যারা কারিগর তারা কি নিঃশেষ হয়ে গেছে? এইমত জরুরি সব প্রশ্ন। চটগ্রাম শহরের অকালে ঝরে যাওয়া তরুণ রাজনৈতিককর্মী বিদ্যুৎ ভৌমিকের সূত্র ধরে রফিকুল আনোয়ার রাসেলের ‘রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের সূচনা ও বিকাশ’ প্রবন্ধটি একই সাথে ইতিহাস নিয়ে পাঠ দেবে, সাথে নিজস্ব মতাদর্শ ও বাংলার চলচ্চিত্রচর্চা নিয়েও ভাবিয়ে তুলবে তরুণ প্রজন্মের নির্মাতাদের।