দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে চলে যাওয়ার সময় ছাত্রদল ও যুবদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিমন ভবনস্থ নগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার পাঁচজন গত সোমবার কাজীর দেউড়িতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত। তবে বিএনপির দাবি, এরা কেউ এজাহারভুক্ত আসামি নন। জানা গেছে, গতকাল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে নাসিমন ভবন সংলগ্ন মসজিদে বাদে যোহর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল শেষে বের হওয়ার সময় পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় প্রথমে নেতাকর্মীদের আগলে রাখার চেষ্টা করলেও পরে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরে যান দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলীসহ সিনিয়র নেতারা।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হচ্ছেন– ১৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব মো. মুসা (৩৮), চাঁন্দগাও থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ কামাল (৩২), দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম শহীদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কর্মী মো. আব্দুস সবুর (৩১) ও মহিবুল্লাহ (২৩)। এছাড়া মোহাম্মদ আজিজুল হাসান (২৩) নামে চন্দনাইশের এক তরুণকে আটক করে। পুলিশ তাকে ছাত্রদলকর্মী বললেও তার স্বজনদের দাবি আজিজুল হাসান রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন।
বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মো. ইদ্রিস আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতিও নেয়া হয়। জোহরের নামাজ ও দোয়া মাহফিল শেষে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় কোতোয়ালী থানার এসআই মেহেদী হাসান আমাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করেন। এসময় আমাদের সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে জোর করে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আটক কেউই গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি নয়।












