নিমতলার সেই ভাস্কর্য এখন সাগরিকার মোড়ে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

একজন বোলার বল করছেন কিংবা ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করছেন। আবার কোন বোলার উইকেট নেওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বাস করছেন কিংবা ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করার পর দু হাত দুদিকে প্রসারিত করে সেটা উদযাপন করছেন। কোন ফিল্ডার বল থামানোর চেষ্টা করছেন কিংবা উইকেট রক্ষক ক্যাচ নেওয়ার আনন্দে ভাসছেন। এ সবই ক্রিকেট মাঠের নিয়মিত ছবি। আমরা হার হামেশাই দেখি এসব। কিন্তু মাঠের বাইরে যখন এমন সব দৃশ্য দেখা যায় তখন সেটা একটু ভিন্নই লাগে। গত কিছুদিন আগেও যারা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের পাশ দিয়ে গিয়েছেন তাদের চোখে পড়তো ক্রিকেটারদের এমন সব দৃশ্য। যদিও সেটি মাঠের কোন দৃশ্য নয়।

নিমতলার মোড়ে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে ক্রিকেটারদের কিছু ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছিল নগরীর শোভা বর্ধনের অংশ হিসেবে। সময়ের আবর্তনের সাথে সাথে সে সব ভাস্কর্য তাদের রং রূপ হারিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়েছিল। তবে সে ভাস্কর্য এখন জায়গা বদল করেছে। নিমতলার মোড় থেকে ক্রিকেটারদের ভাস্কর্য এখন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সাগরিকার গরুর বাজারের পাশে রাস্তার পাশে।

বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে নির্মাণ করা ক্রিকেটারদের ভাস্কর্য গুলো যেখানে স্থাপন করা হয়েছিল সে জায়গা দিয়ে আসছে ফ্লাইওভার। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মুখভাগে নির্মিত ফোয়ারা এবং ক্রিকেটারদের এই সব ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলতে হয়। আর সে ভাস্কর্য গুলো স্থানান্তর করে নিয়ে আসা হয়েছে সাগরিকায়। যে পথ দিয়ে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যাতায়াত করবে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যেহেতু ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে সেহেতু এই ভাস্কর্য গুলো স্থানান্তরের কাজটিও তাদের করতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন যেহেতু ভাস্কর্য গুলো ক্রিকেটারদের, আর যেহেতু এই ভাস্কর্য গুলো সরাতে হবে ফ্লাই ওভারের জন্য সেহেতু সেগুলোকে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আশে পাশে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করেছিল তারা। আর সে হিসেবে সাগরিকা রোডেই স্থাপন করা হয়। যাতে ক্রিকেটাররা আসা যাওয়ার পথে চোখে পড়ে সে গুলো। একটি সঠিক স্থানেই ভাস্কর্য গুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় এই ভাস্কর্য গুলো স্থাপন করেছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

যেহেতু সে পথ দিয়ে ফ্লাইওভার নিতে হচ্ছে আর ফ্লাইওভারের কাজ যেহেতু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেহেতু তাদের ঠিকাদাররাই এই কাজটা করে দিয়েছে। যাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোন খরচই হয়নি। তবে ভাস্কর্য গুলো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে স্টেডিয়াম এলাকার শোভা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এখন এই ভাস্কর্য গুলো কারা রক্ষণা বেক্ষণ করবে সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাঙ্ক্ষিত ফলনেও খুশি হতে পারছেন না কৃষক
পরবর্তী নিবন্ধটেস্টি ট্রিটসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা