লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের রেংয়েন ম্রো পাড়ায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড এবং হামলার ঘটনা তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের ৪ সদস্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
গত রবিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের দেয়া অগ্নিকাণ্ডে ম্রোদের ৩টি বসতবাড়ি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক পক্ষকে দায়ী করেন। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সদস্য কংজরী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল সকাল ১০টায় উপজেলার সরই ইউনয়নের ডেকিছড়া আমবাগান এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রেংয়েন ম্রো পাড়ায় আসেন। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। তদন্ত দলের অপর সদস্যরা হলেন- পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম (জেলা ও দায়রা জজ), উপ-পরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাউদ্দিন এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ও সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানি উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে তদন্ত দলের প্রধান কমিশনের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সদস্য কংজরী চৌধুরী বলেন, এখানে ৩টি ঘর পোড়া গেছে। কারবারীর ঘর এবং পার্শ্ববর্তী ঘরে আক্রমণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ভাষ্যমতে, আক্রমণকারীরা মাদকসেবী ছিলো। কোনও সুস্থ মানুষ এমন কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা যা দেখলাম, শুনলাম, তা-ই জানাব প্রতিবেদনে। আমরা সরকারকে সুপারিশ করি মাত্র। বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।
লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।