ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় জামিন পাননি বাবুল

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৫৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের পিবিআই কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানার মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জামিন দেয়নি আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা বাবুলের পক্ষে জামিনের আবেদন শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুননেছা নামঞ্জুর করেন।

মহানগর পিপি আবদুর রশিদ জানান, জামিন আবেদনের শুনানির সময় বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

এর আগে গত মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পিবিআই কর্মকর্তা নাঈমার দায়ের করা এ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর নগরীর খুলশী থানায় করা এই মামলার তদন্ত করছে পুলিশ; ২৪ নভেম্বর এই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল হালিম।

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি বাবুল আক্তার, তার বাবা ও ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

একই অভিযোগে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় করা পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের আরেক মামলায় বাবুলের বাবা ও ভাই জামিনে রয়েছেন। এই মামলা দু’টির আরেক আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। উভয় মামলায় তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের মামলায় অভিযোগ, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ পুলিশকে ভারতীয় বাহিনী বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বন্ধু প্রতীম ভারতকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করে ও জনসমক্ষে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রচার করে মানহানি করে।

এতে অভিযোগ করা হয়, “গত ৩ সেপ্টেম্বর কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে: খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ৪২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে প্রচার করা হয়।”

এর আগে স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম নগরীর এসপি নাঈমা সুলতানা, তৎকালীন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাবেক পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে বিবাদী করে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার।

২৫ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন আদালতে খারিজ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই বাবুলসহ তার বাবা-ভাই ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দু’টি করা হয়।

এদিকে, ছয় বছর আগে মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন সেই মামলায় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। 

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে পাচারকালে গোল কাঠ জব্দ-জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন করায় দুই বেকারিকে জরিমানা