সীতাকুণ্ডে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ ভাইয়ের মালিকানাধীন ৮টি বসতঘর ও তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৩টায় উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের পেশকার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন স্থানীয় মৃত নুরুল আলমের ছেলে জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ আজিম, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ ইলিয়াস ও মোহাম্মদ শহীদ।
ক্ষতিগ্রস্ত জয়নাল আবেদীন জানান, গভীর রাতে পোড়া গন্ধ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখি বসতঘরের সঙ্গে থাকা দোকান দাউ দাউ করে জ্বলছে। এরপর তিনি চিৎকার শুরু করলে অন্য ভাইয়েরা ও পরিবারের সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বসতঘরে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ করলেও দেড় ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে তাদের পাঁচ ভাইয়ের বসতঘর ও তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তিনি জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে আজ নিঃস্ব তারা পাঁচ ভাই। পরনের জামা ছাড়া তাদের কাছে আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। তীব্র শীতের মধ্যে পরিবার নিয়ে রয়েছেন খোলা আকাশের নিচে।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন লিডার মতিন্দ্রলাল ত্রিপুরা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এতে আশপাশের শতাধিক বসতবাড়ি রক্ষা করা গেলেও আগুনের লেলিহান শিখায় ৫টি বসতঘর ও তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বুধবার সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনরায় ঘর নির্মাণে টিন ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।