রাঙ্গুনিয়ায় একটি সড়কের ১৩টি গাছ কেটে ফেলে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর। উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ খন্ডলিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ খন্ডলিয়াপাড়া সড়কে গত চার বছর আগে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকে পাওয়া বিশেষ উপহারের এসব গাছ রোপণ করা হয়েছিল উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদারের তত্ত্বাবধানে।
পরবর্তীতে গাছগুলো দক্ষিণ খন্ডলিয়াপাড়া বাইতুর মামুন জামে মসজিদের অধীনে হস্তান্তর করা হয়।
সম্প্রতি স্থানীয় প্রবাসী মো. ইয়াকুবের ঘরের সামনের ১৩টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কয়েকদিন আগে কেটে ফেলা গাছের স্থানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে দেখে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রবাসী ইয়াকুব তার ঘরের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করতে গাছগুলো কাটিয়েছেন বলে দাবি করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসী।
এই ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক উকিল আহমেদ বলেন, “মসজিদ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে টাকা খরচ করে গাছগুলো পরিচর্যা করে আসছে কিন্তু ১৩টি বড় বড় গাছ কেটে প্রবাসী ইয়াকুব সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন। তারা গায়ের জোরে কোনো অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।”
তবে কারা গাছগুলো কেটেছে এমন প্রশ্নে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ বলেন, “রাতের আঁধারে কে বা কারা গাছগুলো কেটেছে কেউ দেখেনি। আমি নিজে গাছগুলো লাগিয়েছিলাম। এগুলো কাটার ব্যাপারে আমি নিজে ইউএনও এবং ওসিকে মুঠোফোনে জানিয়েছিলাম। তবে বাড়ির মালিক ইয়াকুব প্রবাসে আছেন উল্লেখ করে তিনি গাছগুলো কাটেননি বলে দাবি করেন।”
এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, “গাছ কাটার ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এই ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”