উল্টো বিএনপিই এখন বেকায়দায় : তথ্যমন্ত্রী

সবাই রাজি হলে বছরে ১০টি হিন্দি সিনেমা আমদানি

| মঙ্গলবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপিই বেকায়দায় পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজের মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপিকে নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে হচ্ছে বিরোধী দল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি, তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা, বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকায়দায় পড়ে গেছে। এর কারণ, তারা ভেবেছিল ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনের সামনে সমাবেশ করে তারা একটি বিশৃঙ্খলা করতে পারবে। সেটি তারা পারেনি এবং বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।

আগামীতেও বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকারও সতর্ক আছে। তারা কী করতে চায়, কী করতে পারে, সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। সেটি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা দুটোই আমাদের আছে। সুতরাং সেটি আমাদের কঠিন কোনো কাজ নয়।

বছরে ১০টি হিন্দি সিনেমা: চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন সম্মত হলে বছরে ১০টি হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতি সরকার দেবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা মতবিনিময়কালে ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখানোর আরজি জানালে একথা জানান তিনি।

দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সুরক্ষা দিতে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় সিনেমা আমদানি নিষিদ্ধ। দশককাল আগে একবার সরকার অনুমতি দিলেও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের বিরোধিতার মুখে পিছু হটে। এখন চলচ্চিত্র শিল্পের দুর্দিনে প্রদর্শক সমিতি প্রেক্ষাগৃহগুলোতে আবার ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখানোর দেন-দরবার করছে। তাতে অন্য কয়েকটি সংগঠনও সমর্থন দিচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী সবার সমর্থনের উপর জোর দিয়ে বলেন, সবাই লিখিত দিতে হবে।

কারণ অতীতে দেখা গেছে বেশিরভাগ সমিতি চাচ্ছে, কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না। যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি -এই চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয়, তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেব। চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবার আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম চট্টগ্রামকে বেছে নিতেন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম রেল স্টেশনের স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের ইন্তেকাল