স্ত্রীর করা মামলায় জামিন নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে মাওলানা শহীদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁশখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড খন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শহীদুল সরল ইউনিয়নের মিনজীরিতলা গ্রামের হাফেজ নুর হোছাইনের পুত্র। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধরের কথা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ওল্টো সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাঁশখালী পৌরসদর জলদীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শহিদুলের স্ত্রী তছলিমা আক্তারের বড় ভাই রাসেদুল ইসলামসহ পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার উত্তর জলদীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকার পাড়ার মোহাম্মদ নুরুল কাদেরের কন্যা তছলিমা আক্তারের সাথে ২ বছর আগে বিবাহ হয় মাওলানা শহীদুলের। তাদের সংসারে ১ বছর ৩ মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে বনিবনা না হওয়ায় শহীদুল স্ত্রীকে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তা নিয়ে সৃষ্ট কলহের জের ধরে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শহীদুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী। গত ২২ ডিসেম্বর সেই মামলায় জামিন নেয়ার পর ২৪ ডিসেম্বর সকালে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে মারধরের শিকার হয় বলে অভিযোগ করেন শহীদুলের পিতা হাফেজ নুর হোছাইন। তিনি বলেন, ছেলের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
তছলিমা আক্তারের বড় ভাই রাসেদুল ইসলামসহ পরিবারের লোকজন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শহীদুল আমার বোনকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। তাই আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে মামলা থেকে জামিন নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে নিজেকে নিজে আঘাত করে আমাদের মান–সম্মান নিয়ে টানাটানি করছে। এ ব্যাপারে আমার পিতা মোহাম্মদ নুরুল কাদের বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।