উদ্বোধনের দিন আগামী বুধবার মেট্রোরেলে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন তিনি মেট্রোরেলে চড়েই অফিস করবেন। এদিন উত্তরায় জনসমাবেশে ভাষণ শেষে মেট্রোরেলের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এরপর উত্তরা উত্তর স্টেশনে এসে ট্রেনের টিকিট কাটবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ের পথে রওনা হবেন। এরপর আগারগাঁও থেকে তিনি নিজ কার্যালয়ে চলে যাবেন। এদিকে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বভার নিয়েছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা এসএসএফ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশনের কনকোর্স ছাদ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এসএসএফ এবং সিঁড়ি থেকে নিচের অংশে পুলিশের পাহারা বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্টেশনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী হিসেবে যারা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাবে তারা ফিরতি ট্রেনে উত্তরা উত্তর স্টেশনে ফিরে আসবে। ওই দিন ট্রেনটি আর কোনো যাত্রী পরিবহন করবে না। পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীদের জন্য
পুরোপুরি উন্মুক্ত থাকবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল।
আপাতত প্রথম দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। এই সময়ে যাত্রী পরিবহন করা হবে। পরবর্তী সময়ে যাত্রী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। মেট্রো রেললাইন–৬–এর উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) নাজমুল ইসলাম ভূইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই দিনের কর্মসূচি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন করা হবে।
এদিকে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্বোধনের দিন উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের উত্তরা পার্ক মাঠে জনসমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।