জেলের জালে ‘বোধিসত্ত্ব’ মূর্তি

কুতুবদিয়া থেকে আনা হলো মহেশখালীর বিহারে

মহেশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

কুতুবদিয়ায় সাগরে জেলেদের পাতানো জালে গত ২০ ডিসেম্বর পাওয়া গেছে একটি বুদ্ধ মূর্তি। ওটা ‘বোধিসত্ত্ব’ মূর্তি বলে বৌদ্ধ নেতারা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ওইদিন মূর্তিটি জেলেদের কাছ থেকে মহেশখালী দ্বীপের কালারমার ছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা বৌদ্ধ পল্লীর নবাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ার আলি আকবর ডেইল ঘাট এলাকার জনৈক জেলের পাতানো জালে ২০ ডিসেম্বর একটি প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি পাওয়া যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর পেয়ে পাশের উপজেলা মহেশখালীর বড়ুয়া পাড়ার একদল যুবক কুতুবদিয়ায় গিয়ে মূর্তিটি নিয়ে আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় মূর্তিটি মহেশখালীর বৌদ্ধ পল্লীতে নেওয়া হলে ওটা দেখতে মানুষের ভিড় জমে। পরে মূর্তিটি উত্তর নলবিলা বৌদ্ধপল্লীতে প্রদক্ষিণ শেষে ধর্মীয় রীতি মেনে নবাঙ্কুর বুদ্ধ বিহারে স্থাপন করা হয়।

এ বিষয়ে মহেশখালীর উত্তর নলবিলা কেন্দ্রীয় সৈকত মহাবিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জেমসন বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে স্থাপিত প্রচলিত বুদ্ধ মূর্তির সাথে মূর্তিটির মিল নেই। চীন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও নেপালে এ জাতীয় বুদ্ধ মূর্তি থাকে।

উত্তর নলবিলা কেন্দ্রীয় সৈকত মহাবিহারের শ্রমণ বিশুদ্ধানন্দ শ্রাবণ বলেন, কুতুবদিয়ার জনৈক জেলে মূর্তিটি পাওয়ার পর নিয়ে আসার জন্য আমাদের কাছে খবর পাঠায়। বড়ুয়া পাড়ার টিপু বড়ুয়া ও প্রসেনজিৎ বড়ুয়াসহ কয়েকজন গিয়ে মূর্তিটি নিয়ে আসে। এটি বর্তমানে নবাঙ্কুর বৌদ্ধবিহারে স্থাপন করা হয়েছে। মূর্তিটির অবয়ব বুদ্ধের বুদ্ধত্ব লাভের আগের।

তাই আমরা এটিকে ‘বোধিসত্ত্ব’ হিসেবে সম্বোধন করি। মূর্তিটি আমাদের মন্দিরে থাকা অন্যান্য মূর্তির মতো নয়। এটি ছোট। ওজন আধা কেজি থেকে ৭০০ গ্রাম। উচ্চতা প্রায় ৫ ইঞ্চি। এটি কোনো ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি নয়। পোড়ামাটি বা সিমেন্ট জাতীয় কিছু দিয়ে তৈরি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রহাণুতে মানববসতি!
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় ইউপি সদস্যসহ দুইজন কারাগারে