ভুয়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় বিক্রয় এবং ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এই লক্ষ্যে রোববার সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ‘যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর’ (আরজেএসসি)এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। খবর বাসসের।
আরজেএসসি নিবন্ধক শেখ শোয়েবুল আলম এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং আরজেএসসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে ভূমিসেবা সিস্টেম এবং আরজেএসসি সিস্টেমের মধ্যে আন্ত:সংযোগ স্থাপিত হবে। কাগুজে কিংবা ভুয়া যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মের নামে জমি ক্রয়বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রায়ই নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। আবার ‘বাণিজ্যিক কিংবা শিল্প কাজে ব্যবহৃত জমি’ ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে দলিলাদিতে ‘আবাসিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত জমি’ দেখিয়ে অনেকেই লাভজনক বৃহৎ ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
এতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় রাষ্ট্র। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ই-নামজারি কিংবা ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনায় আরজেএসসি এখতিয়ারভক্ত কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রযোজ্য তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ তৈরি হওয়ায়, ভুয়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে।
এছাড়া ভূমি এবং আরজেএসসি সিস্টেমের স্বয়ংক্রিয় আন্ত:সংযোগ ব্যবস্থায় ই-নামজারি করার সময় করণিক ভুলও হবেনা। কারণ সংশ্লিষ্ট নামজারির আগেই আরজেএসসি সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য যাচাই করার সুযোগ তৈরি হবে।