চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট এলাকা থেকে সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট হয়েছে। আট ঘণ্টার এ যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। গতকাল রোববার সকাল থেকে মহাসড়কের ফৌজদারহাট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে মহাসড়ক সংস্কার কাজের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত এ সংস্কার কাজ চলে। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হলেও গাড়ি চলেছে ধীরগতিতে। কোনো গাড়িকে একেবারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। কিন্তু চালকেরা ধৈর্যহীন হয়ে উল্টো পথে গাড়ি চালালে যানজটের মাত্রা বাড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট স্কুল সন্মুখ থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনে কার্পেটিংয়ের কাজ করছে সওজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামমুখী দুই লেন সড়কের এক লেনে কার্পেটিংয়ের কাজ চললেও অন্য লেন দিয়ে গাড়ি চলছিল। তাই গাড়ি চলাচলে ধীরগতি ছিল। এ কারণে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজটের তীব্রতা বাড়ে। অনেক গাড়ি উল্টো পথে ঢুকে পড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট সবুর আহমেদ বলেন, সওজ কর্মকর্তারা চট্টগ্রামমুখী লেন একেবারে বন্ধ করে দিয়ে ঢাকামুখী লেন দিয়ে উভয় দিকে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ কারণে যানজট তীব্রতর হয়ে ওঠে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ইউটার্ন করায়ও যানজট বাড়ে। যানজটে চট্টগ্রামমুখী দূরপাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
যানজটে আটকা পড়া কামরুল ইসলাম দুলু জানান, তিনি সকাল ১০টায় বারআউলিয়া থেকে চট্টগ্রামের দিকে রওনা করেন। ভাটিয়ারী ভাদামবিবিরহাট এলাকায় সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় যানজটে আটকে থাকার পর তিনি চট্টগ্রামে না গিয়ে পুনরায় বারআউলিয়ার দিকে ফিরে যান।