ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেভই রিয়াতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী দেশটিতে অন্যতম বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ পুরোপুরি বিদ্যুৎবহীন হয়ে পড়ে এবং কিইভ দেশজুড়ে জরুরি ব্ল্যাকআউট বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়। তারা জানান, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেভই রিয়াতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তিন জন ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে রুশ গোলাবর্ষণে একজন নিহত হয়েছে। রাশিয়ার অধিকৃত পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থি ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের গোলাবর্ষণে ১২ জন নিহত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
শুক্রবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বক্তৃতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি জেলেনস্কি বলেছেন, আরও বেশ কয়েকবার ব্যাপক হামলা চালানোর মতো পর্যাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার আছে। এমন মন্তব্যের পর তিনি পশ্চিমা মিত্রদের কিইভকে আরও বেশি ও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেন পাল্টা হামলা চালানোর মতো যথেষ্ট শক্তি রাখে বলে দাবি করেছেন তিনি।
কিয়েভ বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেছিল, আগামী বছরের প্রথমদিকে সর্বাত্মক হামলা চালানোর নতুন পরিকল্পনা করেছে মস্কো। অক্টোবরের প্রথমদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে কয়েকটি লড়াইয়ে বিপর্যয়ের পর থেকে রাশিয়া প্রায় প্রতি সপ্তাহে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।
কিন্তু শুক্রবার ব্যাপক তুষার ও বরফে ঢাকা দেশটিতে চালানো হামলায় অন্য হামলাগুলোর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছু মেরামতি কাজ করার পর ইউক্রেনের গ্রিড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান উক্রেইনেরহো ‘জরুরি ব্ল্যাকআউট’ অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে তারা সতর্ক করে বলেছে, আগের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাগুলোর তুলনায় এবার সরঞ্জাম মেরামত করতে ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে বেশি সময় লাগতে পারে।
