ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক যদি হন লিওনেল মেসি, নিঃসন্দেহে পার্শ্বনায়ক হুলিয়ান আলভারেস। ম্যাচ জুড়ে কী দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই না করেছেন ‘দ্যা স্পাইডার’ নামে পরিচিত তরুণ এই স্ট্রাইকার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবশ্য উঠেছে মেসির হাতে। তবে সময়ের সেরা এই ফরোয়ার্ডের মতে পুরস্কারটি আলভারেসের প্রাপ্য। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মঙ্গলবার ক্রোয়েশিয়াকে গোল করেন মেসি। বাকি দুটি আলভারেসের। ৩৪ মিনিটে সফল স্পট-কিক থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এখানেও অবদান আছে আলভারেসের।
ডি-বক্সে তাকেই যে ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকভিচ ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ মিনিট পরেেতা আলভারেস নিজে করেন দুর্দান্ত এক গোল। এবারের বিশ্বকাপে অনেকের চোখে যা সেরা। মেসির পাস পেয়ে নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দৌড় দেন তিনি। সব বাধা পেরিয়ে বক্সের মুখে ও পরে পজেশন হারাতে হারাতেও শেষ মুহূর্তে ঠান্ডা মাথায় ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলভারেস। তার এই গোলে জয়ের দিকে আরেক পা এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসির জাদুতে ও আলভারেসের অনায়াস ফিনিশিংয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে আর্জেন্টিনা। অসাধারণ নৈপুণ্যে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে বাইলাইন থেকে ছয় গজ বঙে বল বাড়ান মেসি। বাকিটা অনায়াসে প্লেসিং শটে সারেন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড আলভারেস। আসরে চতুর্থবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিতে মেসি বলেন, তার চোখে এই ম্যাচের নায়ক ২২ বছর বয়সী আলভারেস। দল হিসেবে কাজ করা আমাদের শক্তি। আমি আমার যেকোনো সতীর্থকে পুরস্কারটি (ম্যাচ সেরার) দেব। কিন্তু আজ হুলিয়ান সবার উপরে। সে অসাধারণ খেলেছে। আমাদের জন্য পথ খুলে দিয়েছে। লড়াই করেছে। পুরো সময় দৌড়েছে ।
বিশ্বকাপ জুড়ে সে আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল। এটি তার প্রাপ্য। বিশ্বকাপে অভিষেক আসরে চারটি গোল করে ফেললেন আলভারেস। গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ‘বাঁচা-মরার’ লড়াইয়ে দুর্দান্ত এক গোল করে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। পরে শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও করেন একটি গোল। পেলের পর সেমিফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে জোড়া গোল করে জানান দিলেন, অনেক দূর যাওয়ার সামর্থ্য আছে তার।