লেখক ও আবৃত্তিশিল্পী তাপস মজুমদারের গ্রন্থ ‘কাহিনি যুদ্ধের নয় জীবনের’ পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি কম হয়নি, বইপত্রও অনেক প্রকাশিত হয়েছে। একাত্তর নিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ অনেক বই রয়েছে। সব যে পাঠকের গোচরিভূত হয়েছে, তাও নয়। আবার সবগুলো যে ইতিহাসের সঠিক তথ্য নির্ভর হয়েছে তাও নয়।
কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের চোখে দেখা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাস্তবানুগ এক একটি খণ্ড চিত্র এক একটি তথ্য চিত্রের মতো ওঠে এসেছে ‘কাহিনি যুদ্ধের নয় জীবনের’ গ্রন্থটিতে। উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের আয়োজনে গত রোববার চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু ও বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের যুগ্ম সদস্যসচিব মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল। আলোচক হিসেবে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শুভ্রা রাণী চন্দ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মাছুম আহমেদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে গ্রন্থটির উপর বিশদ আলোচনা করেন লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শৈবাল চৌধুরী। অনুষ্ঠান ও আয়োজন নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেন লেখক ও আবৃত্তিশিল্পী তাপস মজুমদার। সাংবাদিক ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে এবং উচ্চারক সহ-সভাপতি এ এস এম এরফার মিতুন ও মৌসুমী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেখক খন রঞ্জন রায়।
দ্বিতীয় পর্বে গ্রন্থের বিভিন্ন অংশ পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, প্রণব চৌধুরী, পলি পারভীন, শ্রাবণী দাশগুপ্তা, অনির্বাণ চৌধুরী, নাসরিন তমা, শামীমা ইয়াছমিন, দিপা দাশ মিতু, রোকসানা আফরিন সিলভিয়া, নাজিফা তাজনুর, ইকরা বিনতে বিল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজা আক্তার বলেন, একাত্তরের ইতিহাসকে জীবনের জীবন্ত গল্প করে তোলাটা খুব সহজ কাজ নয়। লেখক তাপস মজুমদার সেটাই করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ মানে শুধু রণাঙ্গনের কাহিনী নয়, এটা বস্তুত সাড়ে সাত কোটি বাঙালির কাহিনী। বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ভিন্নধর্মী আলেখ্য সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যা আগ্রহী পাঠককে আন্দোলিত করবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।