নগরীর আলমাস সিনেমা হলের সামনে মশাল মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. ইরফানুল হাসান রকি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফুর রহমান, নগর যুবদলের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম।
জানা যায়, গতকাল সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন মানস দে নামে ভাঙচুরের শিকার গাড়ির এক মালিক। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর আজাদীকে বলেন, গত বুধবার রাতে ছাত্রদলের মিছিল থেকে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে আছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
কিন্তু আন্দোলনের নামে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করতে চায় কিংবা সাধারণ মানুষের জানমালের ওপর আঘাত হানার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম নগরীর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস চালায়, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।