১০ ডিসেম্বরে ঢাকার সমাবেশ কেউ ঠেকাতে পারবে না

বিক্ষোভ সমাবেশে শাহাদাত

| শুক্রবার , ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সেটি ঢাকার বুকে যেকোনো জায়গায় হবে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ঢাকা শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশ আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না। ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশ কোনো শক্তিই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। টাকা পাচারে বিরুদ্ধে, ব্যাংক লুট ও খুনির বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। চট্টগ্রামের মানুষও জেগে উঠেছে। ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তার ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন।

শাহাদাত বলেন, ভোট চুরি, মানুষ খুন, সন্ত্রাস, মামলা-হামলা, ব্যাংক লুট আওয়ামী লীগের বড় গুণ। ঢাকার পল্টনে বিএনপির ওপর হামলা ও কর্মীদের খুন করার পর তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। পার্টি অফিসের সামনে নেতাকর্মীরা থাকবে, সেটি তো স্বাভাবিকই। কিন্তু সেখানে যেভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা হলো তা নজিরবিহীন। আমাদের শত শত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নিহতও হয়েছেন একজন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসার চর্চা করে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী সরকার প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করছে। এর জবাব তাদের একদিন দিতে হবেই।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মহানগর বিএনপি নেতা জিএম আইয়ুব খান, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা হামিদ হোসাইন, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ইয়াকুব চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনলাইন জুয়া প্রতিরোধে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি এখন চাইছে কমলাপুর স্টেডিয়াম