পোশাকে, জুতায় কারচুপির (কাপড়ে পুঁতি লাগানো) কাজ করতেন মো. মকবুল, স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে দিন চলত কষ্টে; রাজনৈতিক সহিংসতায় তাকে হারানোর বেদনা ছাপিয়ে স্ত্রী হালিমার আহাজারিতে ফুটে উঠছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে মেয়েকে নিয়ে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছিলেন তিনি। হালিমার স্বামী মকবুল (৩২) গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার মিরপুরের বাউনিয়া বাঁধ এলাকার বাসিন্দা মকবুল বিএনপির সমর্থক ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই আব্দুর রহমান। তবে তিনি বলেন, সভা-সমাবেশে খুব একটা যেতেন না মকবুল। সারাদিন কারচুপির কাজ করেই কুলিয়ে উঠতে পারতেন না।
মকবুলের বোন আয়েশা জানান, মকবুল যে নয়া পল্টনে গেছেন, তা তারা জানতেন না। তারা জানতেন তিনি পুঁতি কিনতে গেছেন। পুঁতি কেনার কথা বলে স্ত্রীর বড় বোনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ধার নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মকবুল।
আয়েশা বলেন, সন্ধ্যায় তাদের পাশের বাসার এক আনসার সদস্য ফেসবুকে পাওয়া ছবি দেখিয়ে জানতে চান এটা মকবুল কি না? তারা রক্তাক্ত মকবুলকে দেখে চিনতে পেরে ঢাকা মেডিকেলে রওনা হন। এসে জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজাখুঁজি করেও মকবুলের খোঁজ পাননি।
পরে তার লাশ পান মর্গে। মকবুল কেন নয়াপল্টনে গিয়েছিলেন- জানতে চাইলে তার স্ত্রী হালিমা বলেন, ওরে কে এখানে নিয়ে আইলো, আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ও বলছিল পুঁতি কিনতে যাচ্ছে।
অন্য ভাই-বোনদের সঙ্গে মায়ের মালিকানাধীন একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন মকবুল। তার আট বছর বয়সী একমাত্র মেয়েটি পড়ছে একটি মাদ্রাসায়।












