কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব শেষে শুরু হয়েছে নকআউট পর্বের উত্তেজনা। এর মধ্যেই আলোচনায় উঠে এসেছে ২০২৬ বিশ্বকাপ। পরের আসরে দল সংখ্যা বাড়ালেও ফরম্যাট চূড়ান্ত করা হয়নি। সম্ভাব্য ফরম্যাট হিসেবে বিবেচনায় আছে তিনটি প্রস্তাব, তবে কোনোটিই এখনও বেছে নেয়নি ফিফা। ৩২ দল নিয়ে বর্তমানের এই ফরম্যাটে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। পরের ছয় আসরেও সেটি চলার পর পরিবর্তন অনিবার্য।
আগামীবার তিন দেশের আয়োজনে ৪৮ দল নিয়ে মাঠে গড়াবে বিশ্ব সেরার লড়াই। টুর্নামেন্টের ফরম্যাট নিয়ে আগামী বছর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। বর্তমান ফরম্যাটে প্রতিটি গ্রুপের শেষ রাউন্ডের দুই ম্যাচ হয়ে থাকে একই সময়ে। যা লড়াইটাকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলে। এবার তো উন্মাদনার মাত্রা পূর্বের সব আসরকে ছাড়িয়ে গেছে।
দেখা মিলেছে দারুণ সব নাটকীয়তার, জন্ম দিয়েছে অনেক অঘটনও। তবে পরবর্তী বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার নতুন ফরম্যাট বের করতেই হবে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৪৮ দলের বিশ্বকাপের পক্ষে ফিফা কাউন্সিল ভোট দেয়। তখন একটি ফরম্যাট অনুমোদন করা হয়, যেখানে ৪৮টি দলকে তিন দলের ১৬টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। সেখান থেকে প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুই দল খেলবে সেরা ৩২ দলের রাউন্ডে। তবে এক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা রয়ে যায়।
তিন দলের গ্রুপ হওয়ায় শেষ রাউন্ডে যে দুটি দল মুখোমুখি হবে, তারা এমন কোনো ফলের জন্য ‘পাতানো ম্যাচ’ খেলতে পারে, যা উভয় দলকেই পরের ধাপে তুলবে। এই কারণেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে ফিফাকে। সমস্যার সমাধানে গ্রুপ পর্বে ড্র হওয়া ম্যাচের পর টাইব্রেকার দেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে। এরপরও অবশ্য শেষ রাউন্ডের দুই দলের বিশেষ কোনো ফলের জন্য খেলার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তিন দলের গ্রুপের পাশাপাশি চারটি দলকে ১২টি প্রুপে রাখার প্রস্তাবও বিবেচনা করা হচ্ছে। এতে এখনকার মতো গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল উঠবে পরের ধাপে, সঙ্গে গ্রুপে তৃতীয় হওয়াদের মধ্যে সেরা আটটি দলও জায়গা পাবে শেষ বত্রিশে। তৃতীয় প্রস্তাব হলো, ৪৮টি দলকে সমান দুই ভাগে ভাগ করার; প্রতিটি ভাগে চার দলের ছয়টি গ্রুপ থাকবে। উভয় ভাগের শীর্ষ দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে। ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের সংবাদ সম্মেলনে রোববার সংস্থাটির গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আর্সেন ভেঙ্গার বলেন, তিনটি ফরম্যাটই তাদের বিবেচনাধীন আছে।