খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল দল। ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ১৩৯ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর হারই নিয়তি হবে, এমন ভাবনা ছিল অনেকের। মাঠের দর্শকরাও হয়েছিলেন ঘরমুখী। কিন্তু সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। অসাধারণ এক জুটিতে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান। সবাই হেরে যাবে এমন ভাবলেও মিরাজ ভেবেছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি বলছেন, শুরু থেকেই তার বিশ্বাস ছিল জয়ের।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল সত্যি কথা বলতে। অনেকে শুনলে হয়তো বলবে পাগল, হয়তো মনে করবে যে কিছু…। সত্যি বলতে আমি বিশ্বাস করছিলাম। আমার বিশ্বাস খুব ভালো ছিল। একবারও মনে হয়নি ম্যাচটা হারবো। শুধু একটা কথা বারবার বলছিলাম, আমার মনে যেটা চলছিল, আমি পারবো। বারবার নিজেকে বলেছি আমি পারবো, আমি পারবো।’ মিরাজ ব্যাটিংয়ে এসেই হারিয়েছেন আফিফকে।
এরপর তার লড়াই করতে হয়েছে বোলারদের নিয়ে। এর ওপর তিনি বেশিক্ষণ এবাদত হোসেন ও হাসান মাহমুদকে পাননি। তারা দুজন ফিরেছেন দুই রানের ভেতর। মিরাজের ভাবনায় ছিল ছোট ছোট জুটি গড়ার।
তিনি বলেছেন, ‘যখনই যে লাস্টের ব্যাটার ছিল- হাসানকেও একই কথা বলেছি যে চার-পাঁচটা বল যদি তুমি খেলতে পারো তাহলে আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি যেভাবে চিন্তা করছিলাম হয়তো এবাদতকে নিয়ে ১৫ রান করবো, হাসানকে নিয়ে ২০ রান করবো।
মোস্তাফিজকে নিয়ে শেষে ১৫-২০ রান যা লাগে, করবো। এভাবেই আমার চিন্তা ছিল।’ ‘কিন্তু তারপরও পরপর দুই উইকেট পড়ে গেছে। শেষ উইকেট যখন ছিল- তখন তো ডু অর ডাই। মানে হারানোর কিছু নাই। তখন তো ঝুঁকি নিতেই হবে।
ঝুঁকিটা এমন নিয়েছি… মোস্তাফিজের কথা খুব ভালো লেগেছে- ওর কথা কানে বাজছিল তখন নিজের মধ্যে নিজের বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।’