পর্তুগালকে রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় করে দিয়েছিল উরুগুয়ে। এবার সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফেললো তারা। উরুগুয়েকে ২–০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো পর্তুগাল। এই হারের ফলে গ্রুপ পর্ব থেকে উরুগুয়ের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। কাতার বিশ্বকাপের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দেখা মেলেনি কোনও দলেরই। ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকা পর্তুগাল বেশ কয়েকটি আক্রমণ সাজায়। তবে উরুগুয়ের রক্ষণভাগে গেলেই বল হারিয়ে ফেলছিল তারা। যদিও প্রথমার্ধে ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পায় উরুগুয়ে। খেলার ৩২তম মিনিটে। মাতিয়াস বেসিনোর পাস ধরে মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে বঙে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক শট নেন বেনতেনকার। সেই শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা। প্রথমার্ধ জুড়ে পর্তুগাল আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি একটিও। ৮টি শটের মধ্যে সবগুলোই নিয়েছে বাইরে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় খেলার দৃশ্যপট। গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দলই। যার ধারাবাহিকতায় ৫৩ মিনিটেই গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। বাম প্রান্ত থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উদ্দেশ্যে ক্রস দেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। রোনালদো লাফিয়ে ওঠেন হেড করার জন্য। প্রথম দেখায় অনেকেরই মনে হয় রোনালদোই হেডে গোল করেছেন। স্কোরও লেখা হয় সেভাবেই। পরে অবশ্য ভিএআর জানিয়ে দেয় রোনালদোর মাথা লাগেনি বলে। গোল ব্রুনো ফার্নান্দেসেরেই। তার ক্রসই জালে জড়ায়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে কাভানির পরিবর্তে লুইস সুয়ারেসকে মাঠে নামান উরুগুয়ের কোচ দিয়েগো আলানসো। সুয়ারেস মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন রেকর্ডও হয়েছে। একই ম্যাচে পাঁচজন ৩৫ বছরের বেশি বয়েসি ফুটবলার খেলার রেকর্ড। বিশ্বকাপে ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। পাঁচ বয়স্ক ফুটবলার হলেন পেপে (৩৯), রোনালদো (৩৭), গডিন (৩৬), সুয়ারেস (৩৫) এবং কাভানি (৩৫)। গোল হজমের পর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে উরুগুয়ে। সুয়ারেস মাঠে আসার পর আক্রমণের ধার বাড়ে তাদের। বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পানি উরুগুয়ে। উল্টো ৯০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় পর্তুগাল।
পেনাল্টি বঙের ভেতর গিমিনেজের হ্যান্ড বলের কারণে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। গিমিনেজের দু’পায়ের মাঝে দিয়ে বল নিতে চেয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। তবে তা ট্যাকল করতে গিয়ে হ্যান্ডবল হয়। ভিএআর থেকে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। সুযোগ কাজে লাগাতে কোনও ভুল করেননি ব্রুনো ফার্নান্দেস। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ২–০ গোলের জয় এনে দেন তিনি।