বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেল যুক্তরাষ্ট্র।
ড্র করলেই চলবে এমন সমীকরণের কারণে নিজেদের রক্ষণভাগ গুটিয়ে রেখেছিল ইরান।
আর সেই লড়াইয়ে জয়ী হলো যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় পা দিল তারা।
কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘বি-এর ম্যাচে ১-০ গোলে জিতে যুক্তরাষ্ট্র নকআউট পর্বে পৌঁছানোর সাথে সাথে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল ইরান।
দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ম্যাচটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। ম্যাচ শুরুর একদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ইরানের পতাকা বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। ফিফার কাছে নালিশও জানায় ইরানি ফুটবল ফেডারেশন। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু মাঠের খেলায় সেই উত্তাপের ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না। বল দখল থেকে শুরু করে শট নেওয়া; সবক্ষেত্রেই একক আধিপত্য দেখালো যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথমার্ধে সবমিলিয়ে ৯টি শট নিয়েছে মার্কিনীরা। এর মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে; যার একটি আবার গোলে রূপান্তরিত করেছে তারা। অন্যদিকে এ অর্ধে কোনো আক্রমণ শানাতে পারেনি ইরান। বরং ৩৮তম মিনিটে তাদের জাল কাঁপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে দেন চেলসি স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। এই গোল আর শোধ করতে পারেনি ইরান।
মাঠের খেলায় শুরু থেকেই ইরানের রক্ষণে মুহুর্মুহু হানা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। ২৮তম মিনিটে দারুণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন দলটির ফরোয়ার্ড টিম ওয়েহ। বল যখন তার দিকে ভেসে আসে, তখন বক্সে একদম একা ছিলেন তিনি; কিন্তু তার দুর্বল হেডে বল সরাসরি গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরনভান্দের গ্লাভসে জমা হয়।
৩৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় যুক্তরাষ্ট্র। হেডে বল ছয় গজ বক্সে বাড়ান সের্জিনো দেস্ত, আর দারুণ ভলিতে জালে পাঠান চেলসির ফরোয়ার্ড পুলিসিক। যোগ করা সময়ে ওয়েহর শটে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।