আমি ইতিহাস না হলে তুমি পড়বে না
তুমি ইতিহাস না লিখলে আমাকে কেউ চিনবে না।
আমাকে সুচারু রূপে তোমার শব্দজ্বলে
ভেঙ্গেচুরে না ডুবালে
তোমার জন্য তীর্থের কাক হতাম না।
মুঠো মুঠো জোৎস্না বর্ষার জল মেঘরাঙা রৌদুর।
কাশফুলের গহনা নরম একটা আবেশ
দেহের ভিতরের দেহের তোলপাড়
বিধসত ঝড়ে স্বপ্নের অবসান।
এতপর তুমি বেমালুম হারিয়ে যাওয়া কবি
শব্দ যুগলে আমি ক্যানভাসে আকাঁ ছবি।
শব্দের তুলিতে কেন এতো ভালোবাসা— বাসি
ছাই রঙ্গা মেঘ আমার কাজল
উড়ে যাওয়া শাড়ির আঁচল
লতায় জড়ানো চুলের আবেশ
ইতিহাস হই ইতিহাস হব।
এতপর তোমার মধুরাক্ষী আমি
ইতিহাসের সাক্ষী।
কবি আমি এমনই লোভাতুর নারী
শব্দের ছন্দে কারাবন্দী, এইটা তো,
তোমার সাথে আমার সন্ধি।
ইতিহাস না হয় হই,
তুমি লিখবে এতপর—
ছন্দে রন্দে আমাকে পড়বে কতজন?












