বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়াতে-কমাতে পারবে সরকারও

| সোমবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৯:৩৬ অপরাহ্ণ

‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম সরাসরি বাড়ানো কিংবা কমানোর ক্ষমতা নিজের কাছে নিচ্ছে সরকার।

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতার মধ্যে এই সংক্রান্ত আইন সংশোধনের প্রস্তাব আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।

বর্তমান আইনে এই ক্ষমতা ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)।

তবে গত অগাস্ট মাসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে তার বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টে আবেদন হয়।

তারপরই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২২ মন্ত্রিসভায় এলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জটিলতা এড়াতে আইনটিতে সংশোধন আনা হচ্ছে। আমাদের এখন বিইআরসি এগুলো (দাম সমম্বয়) সব হ্যান্ডেল করে কিন্তু বিইআরসি’র কিছু কিছু জায়গায় একটু প্রবলেম হয়, যেমন ৯০ দিন পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত না দিয়ে থাকতে পারে। কারণ আইনে বলা আছে বিআরসি ৯০ দিনের মধ্যে এগুলো সব শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। অনেক সময় আমাদের ইমিডিয়েট প্রয়োজন আসে, অনেক সময় তারা ঠিকভাবে ইয়ে (সমন্বয়) করতে পারে না।”

সেই কারণেই সংশোধনীটি আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার প্রয়োজন বোধে বিভিন্ন বিশেষ কারণে এই ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে।”

তাহলে মন্ত্রণালয় এই ক্ষমতার প্রয়োগ যে কোনো সময় করতে পারবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “স্বাভাবিক সময়ে বিই্আরসিই করবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় করবে। বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, যেমন এখন ধরুন ৯০ দিন সময় নিয়ে ওনারা (বিইআরসি) শুনানি নেন। একটা ইমার্জেন্সি আসল। আবার অনেক সময় দাম কমে গেল, কিন্তু বিইআরসি ৯০ দিন ধরে দাম কমাবে। সরকার হস্তক্ষেপ করে একটা নোটিফিকেশন দিয়ে দাম কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবে। বিইআরসি কাজগুলো করবে, কিন্তু স্পেশাল যদি কোনো সিনারিও হয়, তখন সরকার হস্তক্ষেপ করে সেই দামের বিষয়টা হ্যান্ডেল করবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে অজগর সাপ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধকাসেমিরোর একমাত্র গোলে শেষ ষোলোতে ব্রাজিল