কাপ্তাই লেকে পানির স্তর অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পাচ্ছে। লেকে পানি কম থাকার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৫টি ইউনিটের সবগুলো সক্ষম থাকলেও চালানো হচ্ছে মাত্র ১টি ইউনিট। কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে ১টি ইউনিট থেকে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে এখন (২৭ নভেম্বর) ১০৬ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল) পানি থাকার কথা। কিন্তু লেকে পানি রয়েছে ৯০ দশমিক ৯ ফুট এমএসএল। প্রয়োজনের তুলনায় ১৬ ফুট পানি কম রয়েছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দীন গতকাল সন্ধ্যায় আজাদীকে বলেন, মূলত এবারের বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পানি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। লেকে পানি কম থাকায় ৫টির মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র ২ নম্বর ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় গ্রিডের চাহিদা না থাকায় আপাতত একটি ইউনিট (২ নম্বর ইউনিট) চালু রেখে সীমিত পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আপাতত কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আগামী বর্ষা মৌসুম আসা পর্যন্ত কমপক্ষে ১টি ইউনিট চালু রাখার লক্ষ্য নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি জানান, রক্ষণাবেক্ষণের কাজে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট প্রায় ১ বছর বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। পুরোপুরি সচল হলে ১ নম্বর ইউনিট ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পুরোদমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।