কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালের প্রথম ম্যাচে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। প্রতিপক্ষ ঘানার কোচ অটো আডো সরাসরিই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার অভিযোগ, রেফারির সিদ্ধান্তটি ছিল সম্পূর্ণ ভুল। তবে যেভাবে ওই পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড, তাতে বরং তার প্রশংসাই করলেন ফিফার এক কর্মকর্তা। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ গত বৃহস্পতিবার গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৫তম মিনিটের ঘটনা সেটি। রোনালদো ঘানার বক্সে ঢুকে পড়েন। পেছন থেকে বল কেড়ে নিতে যান ঘানার মোহামেদ সালিসু। তখনই এই ডিফেন্ডারের খানিকটা ধাক্কা আর তার পায়ের সঙ্গে পা লেগে মাটিতে পড়ে যান রোনালদো। সেটা অবশ্য ততটা জোরাল মনে হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ফাউলের বাঁশি বাজান যুক্তরাষ্ট্রের রেফারি ইসমাইল ইলফাথ। ওই পেনাল্টি থেকে বল জালে পাঠিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা বা ভিন্ন পাঁচ আসরে গোল করার অনন্য কীর্তি গড়েন রোনালদো। পর্তুগাল শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নেয় ৩-২ গোলে। ম্যাচ শেষে ঘানার কোচ অভিযোগ করেন, রোনালদোকে ইতিহাস গড়তে গোলটি উপহার দিয়েছেন রেফারি। সাবেক ইংলিশ ডিফেন্ডার ম্যাট আপসন বিবিসি রেডিওতে আলোচনায় বলেন, রোনালদো আসলে ‘ডাইভ’ দিয়েছেন। দোহায় শনিবার ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের (টিএসজি) সদস্য সানডে ওলিসেহ পেনাল্টি প্রসঙ্গে বলেন, স্ট্রাইকাররা এখন আরও ‘স্মার্ট’ হচ্ছেন। নাইজেরিয়ার হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে খেলা সাবেক এই মিডফিল্ডারের মতে, পেনাল্টি আদায়ের জন্য কৌশলী ছিলেন রোনালদো। ‘হয়তো স্ট্রাইকাররা আরও স্মার্ট হচ্ছে। রোনালদোর পেনাল্টি, লোকেরা তার সম্পর্কে যা চায় বলতে পারে। তবে ওই সেকেন্ডের জন্য অপেক্ষা করার স্মার্টনেস, বল স্পর্শ করা, পা চালিয়ে যাওয়া, তারপর নিজের পায়ের সঙ্গে প্রতিপক্ষের পা লাগা। এটি আসলেই জিনিয়াস। আসুন, স্ট্রাইকারদের আরও স্মার্ট হওয়ার জন্য প্রশংসা করি। (আসরে বেশি পেনাল্টি হওয়ার জন্য) ভিএআরও একটি বড় কারণ। রেফারিরা এটি তিন বা চারবার দেখতে পারেন।’