প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করে বক্তারা বলেছেন, এই দশ উদ্যোগ দেশের আর্থসামাজিক অবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ে আয়োজিত বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তৃতাকালে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এই বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও কর্মকতারা এই কর্মশালায় অংশ নেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর পৃথিবীর বিজ্ঞজনরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রশ্ন করেছিল, এদেশ চলবে কিভাবে। প্রতুত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিল আমাদের দেশে মাটি ও মানুষ আছে। জাতির পিতার মাটি ও মানুষের প্রতি আত্মবিশ্বাসের ফল আজকের বাংলাদেশ। এছাড়াও রাশিয়া বাংলাদেশের চেয়ে ১৪০ গুণ বড় হওয়া সত্ত্বেও উৎপাদনে বাংলাদেশ রাশিয়ার চেয়ে এগিয়ে। সুতরাং কমিটমেন্ট এবং ডিটারমিনেশান ঠিক থাকলে একটি দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব।
কর্মশালায় বক্তারা ‘আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আয় বৃদ্ধির কার্যক্রমের কারণে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট এর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ। এছাড়াও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট এর পরিচালক মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বক্তব্য রাখেন।