এ দশক শেষ হওয়ার আগেই চাঁদে মানব বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে নাসা। আর্টেমিস প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ ও যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণিত হলে চাঁদে মানব জীবনধারণের উপযোগী স্থাপনা গড়ার প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। আর্টেমিস ওয়ান মিশনের অংশ হিসেবে ১৬ নভেম্বর চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট। চাঁদে ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিক মিশনগুলো পরিচালনার জন্য দীর্ঘ সময় মানব জীবন ধারণের উপযোগী বাসস্থান প্রয়োজন হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওরিয়ন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান হাওয়ার্ড হু। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসএলএস রকেটে চড়ে ওরিয়নের চন্দ্রযাত্রাকে মানব সভ্যতার মহাকাশযাত্রার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। বর্তমানে চাঁদ থেকে ৫৮ হাজার ৮০০ মাইল দূরে আছে আর্টেমিস। চাঁদে নভোচারীদের বয়ে নেওয়ার জন্যই ওরিয়নের নকশা করেছে নাসা। তবে, পরীক্ষামূলক প্রথম মিশনে কোনো মানব যাত্রী যানটিতে। তার বদলে তিনটি পুতুল বা ম্যানিকিন রয়েছে এতে। ১৬ নভেম্বরের আর্টেমিস ওয়ান উৎক্ষেপণ দেখার অভিজ্ঞতাকে একটি অবিশ্বাস্য অনুভূতি এবং একটি স্বপ্ন ছিল বিবিসিকে বলেছেন হু।
গহীন মহাকাশে অভিযান চালানোর প্রথম পদক্ষেপ এটি, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয় বরং পুরো মানব সভ্যতার জন্য। আমি মনে করি দিনটি কেবল নাসার জন্যই ঐতিহাসিক ছিল না, যারা মহাকাশযাত্রার ভক্ত এবং গহীন মহাকাশে অভিযান নিয়ে আগ্রহী তাদের জন্যেও একটা ঐতিহাসিক দিন ছিল।
আমরা চাঁদে ফেরত যাচ্ছি। একটা প্রকল্প দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি আমরা এবং এ যানটি আমাদের আবারও চাঁদে অবতরণের সুযোগ করে দেবে।